আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে ইরানকে ড্রোন তৈরির সরঞ্জাম সরবরাহ করায় এবার নতুন করে আরও ১০ প্রতিষ্ঠান ও ৪ ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন।বুধবার (২০ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের এ নতুন নিষেধাজ্ঞার খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র আরও ১০ প্রতিষ্ঠান ও চার ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে ইরান, মালয়েশিয়া, হংকং এবং ইন্দোনেশিয়াভিত্তিক এজেন্ট, ফ্রন্ট কোম্পানি এবং লজিস্টিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
ট্রেজারি বিভাগ বলছে, এই নেটওয়ার্কটি (যাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে) ইসলামী বিপ্লবী গার্ড কর্পসের এরোস্পেস ফোর্সকে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে এবং এর ড্রোন প্রোগ্রামের জন্য লাখ লাখ ডলার মূল্যের উপাদান সংগ্রহের সুবিধা দিয়েছে। ইরান মধ্যপ্রাচ্য ও রাশিয়ায় তার সন্ত্রাসী মিত্রদের ইউএভি সরবরাহ করছে।
মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি ফর টেররিজম অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্রায়ান নেলসন এক বিবৃতিতে বলেছেন,
ইরানে অবৈধভাবে উৎপাদিত ভয়ংকর ইউএভি (চালকবিহীন আকাশযান) মধ্যপ্রাচ্য এবং রাশিয়ায় সন্ত্রাসীদের কাছে পাঠানো হচ্ছে, যা উত্তেজনা বাড়াচ্ছে এবং দ্বন্দ্ব দীর্ঘায়িত করছে। এতে স্থিতিশীলতাও নষ্ট হচ্ছে।
চক্রটির কথিত নেতা ইরানের হোসেন হাতেফি আরদাকানির বিরুদ্ধে মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) একটি অভিযোগপত্র প্রকাশ করেছে মার্কিন বিচার বিভাগ। আরদাকানি যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি মাইক্রো ইলেক্ট্রনিকস অবৈধভাবে কেনা ও ইরানে রপ্তানি করার ষড়যন্ত্র করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। আরদাকানি ও তার সঙ্গীরা সংবেদনশীল সরঞ্জাম রপ্তানিতে মার্কিন নিয়ন্ত্রণ এড়াতে বিদেশি প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করেছিল। তার সঙ্গীদের মধ্যে চীনা নাগরিক গ্যারি লামও রয়েছেন।
ওয়াশিংটন দীর্ঘকাল ধরেই তেহরানের বিরুদ্ধে ইউক্রেনে ব্যবহারের জন্য রাশিয়াকে এ ধরনের অস্ত্র ও ড্রোন সরবরাহের অভিযোগ করে আসছে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। তবে রাশিয়াকে ড্রোন সরবরাহের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে ইরান।