ঢাকাঃ দেশের অন্যতম বিরোধী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে বুধবার (২০ ডিসেম্বর) থেকে অসহযোগ আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে। পাশাপাশি ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জনের জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বুধবার থেকে সরকারকে সহযোগিতা না করার জন্য সর্বস্তরের জনগণ ও প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচন বর্জন করুন। আপনারা কেউ ভোটকেন্দ্রে যাবেন না। এটি আপনার গণতান্ত্রিক অধিকার।”
বুধবার দুপুরে এক ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি আরও বলেন, “বর্তমান অবৈধ সরকারের সব ধরনের ট্যাক্স, খাজনা ইউটিলিটি বিল পরিশোধ স্থগিত রাখুন। ব্যাংকগুলো এই সরকারের লুটপাটের অন্যতম মাধ্যম, সুতরাং ব্যাংকে টাকা রাখা নিরাপদ কি না সেটি ভাবুন।”
রুহুল কবির রিজভী মিথ্যা ও গায়েবি মামলায় অভিযুক্ত লাখ লাখ রাজনৈতিক নেতা-কর্মীকে বুধবার থেকে আদালতে হাজিরা দেওয়া থেকে বিরত থাকারও আহ্বান জানান।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন বলে জানান তিনি।
২৪ ডিসেম্বর দেশব্যাপী অবরোধ
অসহযোগ আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণার পর বিএনপি ও সমমনা দলগুলো আবারও ২৪ ডিসেম্বর দেশব্যাপী অবরোধ এবং তাদের অসহযোগ আন্দোলন ও জাতীয় নির্বাচন বয়কটের সমর্থনে গণসংযোগের ঘোষণা দিয়েছে।
নির্বাচন বর্জন এবং অসহযোগ আন্দোলনে জনসমর্থন অর্জনের জন্য ২১, ২২ ও ২৩ ডিসেম্বর গণসংযোগ করবে বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দলগুলো।
বুধবার বিকেলে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে নতুন এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন রুহুল কবির রিজভী।
রবিবার সকাল ৬টায় অবরোধ শুরু হয়ে একই দিন সন্ধ্যা ৬টায় শেষ হবে।
বিএনপি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকাররে পদত্যাগ ও নির্বাচন বাতিলের দাবিতে সর্বশেষ মঙ্গলবার দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করেছে।
এর আগে ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশ পণ্ড হওয়ার পর ২৯ অক্টোবর সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করে দলটি।
এর পর থেকে বিএনপি কখনো অবরোধ, কখনো হরতালের মতো কর্মসূচি দিয়েছে। সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচন এবং নেতা-কর্মীদের মুক্তি ও হয়রানি বন্ধের দাবিতে এসব কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি।
দলটির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলোও অভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে।
এটি হবে ৩১ অক্টোবর থেকে বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দলগুলোর ডাকা ১১ দফা অবরোধ কর্মসূচি।