সদ্যবিদায়ী বছর অর্থাৎ, ২০২৩ সালে বলিউড বাদশা শাহরুখ খান দীর্ঘদিন সিনেমায় ফিরেছেন। শেষবার তাকে বড়পর্দায় ২০১৮ সালে ‘জিরো’ সিনেমায় দেখা গিয়েছিল। দীর্ঘ চার বছর পর আবার কিং খান ফিরলেন ‘পাঠান’ সিনেমা নিয়ে।
পাঠান’ সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন সিদ্ধার্থ আনন্দ। মুক্তির পরপরই এ সিনেমা বক্স অফিসে ঝড় তোলে। বিশ্বব্যাপী ১০৫০ কোটি রুপিরও বেশি ব্যবসা করে এ সিনেমা। গত বছর শাহরুখের ‘জাওয়ান’ নামের আরও একটি বড় সিনেমা মুক্তি পায়। এ সিনেমা এক হাজার ১৪৮ কোটি রুপিরও বেশি ব্যবসা করে।
এ সিনেমাও বক্স অফিসে দারুণ ব্যবসা করে। এরকম দুটি বড় সিনেমা উপহার দেওয়া সত্ত্বেও তিনি থামেননি। ২০২৩ শেষ হয় বলিউড বাদশাহর আরও একটি সিনেমার মাধ্যমে। এর নাম ‘ডানকি’। এটি পরিচালনা করেছেন রাজকুমার হিরানি। এ সিনেমায় প্রথমবার একসঙ্গে কাজ করেন এ দুই তারকা।
‘ডানকি’ সিনেমাটিও বেশ ব্যবসা করে বক্স অফিসে। এ সিনেমা এরই মধ্যেই ২০০ কোটি রুপির বেশি ব্যবসা করেছে। এক কথায় বলা যায়, ২০২৩ সাল শাহরুখ খানের দখলে ছিল। এ তিন সিনেমা বিপুল ব্যবসা করার সঙ্গে একটি নতুন রেকর্ডও গড়েছে।
শাহরুখের ২০২৩ শুরু হয়েছিল সিদ্ধার্থ আনন্দ পরিচালিত ‘পাঠান’ সিনেমার মাধ্যমে। এ সিনেমা দেখতে প্রেক্ষাগৃহে কমপক্ষে ৩.২০ কোটি দর্শক ভিড় করেছিলেন। সেই একই উন্মাদনা দেখা গিয়েছিল শাহরুখের পরবর্তী সিনেমা ‘জওয়ান’ নিয়ে। প্রেক্ষাগৃহে ৩.৯৩ কোটি দর্শক এসেছিলেন অ্যাটলি পরিচালিত ‘জওয়ান’ সিনেমা দেখতে।
২০২৩ শেষ হয়েছিল রাজকুমার হিরানির সিনেমা ‘ডানকি’ দিয়ে। এ সিনেমা দেখতেও ১ কোটিরও বেশি দর্শক ভিড় করেছিলেন প্রেক্ষাগৃহে। তিনি বলিউডে প্রথম অভিনেতা যার সিনেমা দেখতে এত পরিমাণ দর্শক প্রেক্ষাগৃহে হাজির হয়েছিলেন।
এ তিন সিনেমার মধ্যে অ্যাটলি পরিচালিত ‘জওয়ান’ সিনেমাটি সবচেয়ে বেশি ব্যবসা করে। সিনেমায় শাহরুখ খান ছাড়াও আমরা দেখতে পেয়েছিলাম নয়নতারা, সানিয়া মালহোত্রা, দীপিকা পাড়ুকোনসহ অন্যদের। সিনেমায় বিজয় সেতুপতি খলনায়কের ভূমিকায় রূপদান করেছেন।