সিইসি আরও বলেন, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করার উদ্দেশ্য হলো আসন্ন জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি সম্পর্কে অবহিত করা। আমরা রাষ্ট্রপতিকে নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কেও অবহিত করেছি। রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেছেন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হবে- সুশৃঙ্খলভাবে হবে। এ ব্যাপারে উনার সহযোগিতার প্রয়োজন হলে- উনি আশ্বাস দিয়েছেন।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, রাষ্ট্রপতি বলেছেন- যে কোনো মূল্যে সাংবিধানিক ধারা অব্যহত রাখতে হবে। আমাদের ওপর সাংবিধানিক যে দায়িত্ব আরোপ করা হয়েছে, সেখানে যে বাধ্যবাধকতা রয়েছে- আমরা সে অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে, নির্ধারিত পদ্ধতিতে নির্বাচন করতে বদ্ধপরিকর।
নির্বাচনের তফসিল কি আগামী ১৫ নভেম্বর মধ্যে ঘোষণা করা হবে- এ বিষয়ে সিইসি বলেন, আমরা এ ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত নেইনি। তবে দ্রুতই ঘোষণা করবো, কারণ সময় হয়ে গেছে।
ভোটের মাঠের রাজনৈতিক বাস্তবতা নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে কথা হয়েছে কিনা- এ বিষয়ে সিইসি বলেন, না, এটা নিয়ে তেমন আলোচনা হয়নি। আমরা শুধু আমাদের কথা বলেছি। এছাড়া রাজনৈতিক সংলাপের ব্যাপারেও কোনো কথা হয়নি বলে জানান সিইসি।
সুষ্ঠু নির্বাচনে সরকার ইসিকে সার্বিক সহযোগিতা করবে, আশা রাষ্ট্রপতির
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন আশা করেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সরকার নির্বাচন কমিশনকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করবে।
তিনি নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সাংবিধানিক রীতি-নীতি ও বিধি-বিধান অনুসরণপূর্বক কমিশনকে সাহসিকতা ও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে কমিশনের একটি প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তিনি এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, নির্বাচন হচ্ছে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় জনগণের মতামত প্রতিফলনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।
রাষ্ট্রপতি বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করেন এবং প্রতিনিধির মাধ্যমেই জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হয়ে থাকে।
সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, গণতন্ত্র ও উন্নয়ন একসঙ্গে চলে।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে হলে দেশের গণতান্ত্রিক ধারাকে অব্যাহত রাখতে হবে। নির্বাচন কমিশনের একার পক্ষে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব নয় উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচনের জন্য প্রয়োজন নির্বাহী বিভাগসহ জনগণের সক্রিয় সহযোগিতা। রাজনৈতিক দলগুলোকে এ লক্ষ্যে এগিয়ে আসতে হবে।
এ সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে জানান। তিনি বলেন, সুন্দর ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যেই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করেছে। নির্বাচনকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে নির্বাহী বিভাগসহ সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনাররা ও ইসি সচিব ১২টার কিছু আগে বঙ্গভবনে প্রবেশ করেন।
সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে আছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.), রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর, মো. আনিছুর রহমান ও ইসি সচিব জাহাংগীর আলম রয়েছেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি জানাতে বঙ্গভবনে যায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ভোটের তারিখসহ তফসিলের বিস্তারিত প্রস্তুতির বিষয়ে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করতে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠান করে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন।