ডেস্ক নিউজ: রাজশাহী মহানগরীর তেরখাদিয়া এলাকায় অজ্ঞাত সন্ত্রাসী ভূমিদস্যুরা সাংবাদিকের বাড়ি, অবৈধভাবে দখলের পায়তারা, হত্যার হুমকিসহ নানা ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে নগরীর রাজপাড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন দৈনিক আমাদের নতুন সময়ের সাব এডিটর মুসবা আলিম তিন্নি।
অভিযোগকারী ও সাধারণ ডায়েরী সুত্রে জানাগেছে, রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানা এলাকার তেরখাদিয়া পশ্চিমপাড়ার ৯১/১ নং বাড়িটির বর্তমান মালিক সেলিনা ফেরদৌস সাইদার কন্যা মুসবা আলিম তিন্নি। বাড়িটির জায়গা মরহুম আহাম্মদ আলী তার বড় কন্যা সেলিনা ফেরদৌস সাইদাকে পৈত্রিক সূত্রে দেয়, পরবর্তীতে সেলিনা ফেরদৌস নিজেই সেখানে একটি একতলা পাকা বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করেন।
পরবর্তিতে তিন্নি এবং তার মা’ ঢাকায় অবস্থান করায় গত বছরের জুলাই মাসে বাড়িটি ভাড়া দেয়। এর পর থেকেই কিছু অজ্ঞাতনামা ভূমিদস্যু সন্ত্রাসীরা বাড়িতে গিয়ে বিভিন্নভাবে হানা দিচ্ছে এবং ভাড়াটিয়াদের ভয়ভীতি দিচ্ছে। তারা বাড়িটি অবৈধ্য ভাবে দখল করার উদ্যেশ্যে বাড়িটিতে কোনো ভাড়াটিয়াকেই থাকতে দিচ্ছে না। এই পর্যন্ত সন্ত্রাসীরা দুইটি ভাড়া উচ্ছেদ করেছে বলে যানা গেছে।
বর্তমানে যেই ভাড়াটে সেখানে রয়েছে তাকেও গত ২৪ জানুয়ারী বাড়ি গিয়ে ভাড়াটিয়াকে হুমকি প্রদান করে বলে “তোদেরকে বাড়ি ভাড়া কে দিয়েছে? কার সাহসে এই বাসায় আছিস, তোদের বাড়ি ভাড়া কে নেয়, পাঁচদিনের মধ্যে বাড়ি না ছাড়লে তুইসহ তোদের বাড়িওয়ালাকে খুন করে লাশ গুম করে ফেলবো” এই বলে আরও অনেক অকথ্য ভাষায় গালাগাল দিতে থাকে বলে অভিযোগ উঠেছে ।
বাড়ি ছাড়ার হুমকি দিলে ভাড়াটে বাড়িওয়ালাকে বলে এবং বাড়িতে এসে সন্ত্রাসীর হুমকির কারণে তিনি সেখানে থাকাতে ভিষণ ভয় পাচ্ছে জানায়। কিন্তু বাড়িওয়ালা অভয় দিলে পরবর্তীতে আবারও সেই সন্ত্রাসীরা ভাড়াটের দোকানে গিয়ে সন্ত্রাসীরা ভয়ংকর ভাবে শাসিয়ে আসে এবং আবারও ভাড়াটেকে গুম ও হত্যার ভয় দেখালে প্রানের ভয়ে ভাড়াটিয়া গত ৪ ফেব্রুয়ারী বাড়ি ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়।
পরে বাড়িটির বর্তমান মালিক সেলিনা ফেরদৌস সাইদার কন্যা সাংবাদিক মুসবা আলিম তিন্নি রাজশাহীর রাজপাড়া থানায় একটি অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুর ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সাংবাদিক মুসাবা আলিম তিন্নির একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রোয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।