এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশের সাবেক একজন কূটনীতিক বুধবার (২০ ডিসেম্বর) বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘নিরাপত্তা বিষয়ে অনেক দেশের সঙ্গেই বাংলাদেশের সহযোগিতা রয়েছে। এরমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রও রয়েছে। ১০-১২ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্র থেকে নৌবাহিনীর জন্য দুটি জাহাজ এবং বিমানবাহিনীর জন্য লকহিড মার্টিন সি-১৩০ হারকিউলিস বিমান সংগ্রহ করা হয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘জাতীয় স্বার্থগত ভিন্নতার কারণে দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন ইস্যুতে মতবিরোধ থাকবে। কিন্তু সহযোগিতা, বিশেষ করে নিরাপত্তা সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে এটিই স্বাভাবিক।’
অ্যালার্ট লিস্ট
যুক্তরাষ্ট্রের কান্ট্রি টেরোরিজম রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, ‘যুক্তরাষ্ট্রের অ্যালার্ট লিস্ট প্রস্তাব বাংলাদেশ সরকারের বিবেচনাধীন আছে। অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট, সিটিটিসিইউ ও মেট্রোপলিটান পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে বিষয়টি দেখভাল করবে স্পেশাল ব্রাঞ্চ।’
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘এ ধরনের সহযোগিতার প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন দেশকে দিয়েছে। এটি যাচাই-বাছাই করে আমরা সিদ্ধান্ত নেবো।’
কান্ট্রি টেরোরিজম রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়—‘ইন্টারপোলের সঙ্গে বাংলাদেশ তথ্যবিনিময় করে। কিন্তু দেশটির কোনও ‘জাতীয় সন্ত্রাসী ওয়াচ লিস্ট’ নেই। কিন্তু স্পেশাল ব্রাঞ্চের নিজস্ব একটি ওয়াচ লিস্ট আছে।’
শান্তিরক্ষী মিশন
বিভিন্ন সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী সদস্যরা অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন। এসব জায়গায় যারা কাজ করেন, তাদের প্রয়োজনীয় গাড়ি, অস্ত্রসহ অন্যান্য সরঞ্জাম বিভিন্ন দেশ থেকে কিনে থাকে বাংলাদেশ।
প্রতিটি ক্রয়ের একটি উদ্দেশ্য থাকে জানিয়ে সাবেক একজন কূটনীতিক বলেন, ‘নিরাপত্তা সামগ্রী কেনার সময়ে শান্তিরক্ষায় ব্যবহার করা হবে কিনা বা যাবে কিনা, সেটি বিবেচনায় থাকে। আমাদের শান্তিরক্ষী বাহিনীর অভিজ্ঞতা ও প্রশিক্ষণ আছে। একইসঙ্গে তারা যে সরঞ্জাম ব্যবহার করে সেটিও ভালোমানের। ফলে তারা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে পারে।’