অনলাইন ডেস্কঃ বাংলাদেশকে চাপে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। ঠিক এই সুযোগটাই খুঁজছিল চীন। চাইছে স্বার্থ হাসিল করতে। আর তাতেই বেজায় চিন্তায় ভারত। সতর্ক করল যুক্তরাষ্ট্রকে। অশান্ত হয়ে উঠতে পারে সীমান্ত। কিন্তু বাংলাদেশ মার্কিনী চাপে থাকলে ভারতের ক্ষতি কেন? চীনের সাথে বাংলাদেশের মাখো মাখো ভাব কেন ভালো চোখে দেখছে না ভারত? সমস্যাটা কোথায়? হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনের কিছু দাবিতে উত্তাল দুই দেশ।
২০২৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হতে পারে বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন। দেশটায় সেই ২০০৯ সাল থেকে ক্ষমতায় রয়েছেন শেখ হাসিনা। প্রতিবেশী অঞ্চলে তাকে ভারতের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র বলে মনে করা হয়। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্ব বহু দিনের। বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে একে অপরকে দিচ্ছে বিস্তর সুযোগ সুবিধা। অপরদিকে পশ্চিমা শক্তিধর রাষ্ট্রগুলোর লক্ষ্য বাংলাদেশের অবাধ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন। বাংলাদেশ সরকারও তাই চায়। কিন্তু একটু বেশি চাপে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। ভিসা নিষেধাজ্ঞা থেকে শুরু করে বারংবার প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে বাংলাদেশে।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মার্কিনী কূটনৈতিক চাপে বেজায় অস্বস্তিতে বাংলাদেশ। তারই কি সুযোগ নিচ্ছে চীন? দেশটাতে মাটি শক্ত করছে পাকিস্তান ঘনিষ্ঠ জামায়েত ইসলামী। যা ভারতের জন্য বড় উদ্বেগের কারণ। একথা যুক্তরাষ্ট্রকেও জানিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে চীন সুযোগ নিল কি নিল না, জামায়েত ইসলামী শক্তি বাড়ালো কি বাড়ালো না তাতে ভারতের মাথা ব্যাথা কেন? ভারত তো বারংবার বলেই এসেছে, দেশটার নির্বাচনে কোন হস্তক্ষেপ করবে না। বাংলাদেশের জনগণই ঠিক করবে তাদের নির্বাচন কেমন হবে। আসলে ভয়টা অন্য জায়গায়। হিন্দুস্থান টাইমসের প্রতিবেদন বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের এমন সিদ্ধান্তে বাংলাদেশে আরও শক্তিশালী হবে কট্টরপন্থীরা, যার মারাত্মক এফেক্ট পড়বে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার উপর। ভারত বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চাইলেও মার্কিন চাপ বাংলাদেশকে চীনের কাছাকাছি নিয়ে যাবে। মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে উগ্রবাদ আর মৌলবাদী শক্তি। অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্র আর ইউরোপীয় ইউনিয়নের চাপে নিজেদের জায়গা পাকা করছে বিএনপি।
চীনও খুঁজছিল ঠিক এই সুযোগটাই। চীন বলেই দিয়েছে, বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক পারস্পরিক শ্রদ্ধার উপর নির্ভরশীল। দুটো দেশ একে অপরের অভ্যন্তরীণ হস্তক্ষেপকে কখনোই সমর্থন করবে না। উভয় দেশ নিজেদের স্বার্থে একে অপরকে সমর্থন করবে। ঢাকার সাথে কাজ করবে বেইজিং। এই বক্তব্যই এখন চিন্তা বাড়িয়েছে ভারতের। নয়া দিল্লি মনে করছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাপের মাঝে চীন আরো ঘেঁষতে চাইছে বাংলাদেশের কাছে। হয়ত বেজিং এভাবেই চাইছে স্বার্থ হাসিল করবে। এর ফলে আরও শক্তিশালী জায়গা বানিয়ে ফেলবে জামায়েত ইসলামী। উৎসাহ পাবে চরমপন্থী শক্তি। যা ভারতের জন্য খুব একটা সুখবর নয়। ভারতের পূর্ব এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় অঞ্চলের যে রাজ্যগুলি বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত ভাগকরে,সেখানে দেখা দিতে পারে বড়সড় হুমকি।
সুত্রঃ প্রথম কলকাতা
https://fb.watch/mRYM9J34z-/