যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে পদাযাত্রা

180

লন্ডন প্রতিনিধি ঃ বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর লন্ডনে সর্ববৃহত সমাবেশ করে ইতিহাস সৃস্টি করেছে যুক্তরাজ্য বিএনপি। সেন্ট্রাল লন্ডনের হাইড পার্ক থেকে মিছিল।  সেন্ট্রাল লন্ডনের হাইড পার্ক থেকে মিছিল সহকারে টেন ডাউনিং স্ট্রিটে যান বিএনপির হাজার হাজার নেতা কর্মী। বাংলাদেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে ২৯ আগস্ট (মঙ্গলবার) এই গণ পদাযাত্রা করেন প্রবাসীরা। এসময় প্রধান রাস্তাগুলো বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় লন্ডনের মেটপুলিশ।

No description available.

ঐদিনের সকাল থেকেই হাইড পার্ক আশে পাশে অবস্থান দেখা যায় বিএনপি নেতাকর্মীদের। দুপুর ১২ টার পর একে একে মিছিল নিয়ে হাই পার্কের এড়িয়ায় জড়ো হোন নেতাকর্মীরা। শুধু লন্ডন নয়, পদযাত্রা সফল করতে যুক্ত হয়েছেন ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশের নেতাকর্মীরা। কেউ কেউ এসেছেন তাদের পুরো পরিবার পরিজন নিয়ে।জনসভা না হলেও মনে হয়েছে কিছু মুহূর্তের জন্য হাইড পার্কে তৈরি হয় বিশাল জনসভা। এসময় প্রধান রাস্তাগুলো বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় মেট্রোপলিটন পুলিশ। মানুষের পদযাত্রায় তৈরি হয় বিশাল জ্যাম।

এরপর আস্তে আস্তে রওনা হয় টেন ডাউনিং স্ট্রিটের দিকে। দীর্ঘ ২ মাইল লম্বা হয় নেতাকর্মীদের এ পদযাত্রা। শেখ হাসিনা সরকার বিরোধী বিভিন্ন স্লোগানে মুখরিত ছিল লন্ডনের রাজপথ। ২০ হাজারেরও বেশী প্রবাসী বর্তমান সরকার হাসিনার পদত্যাগ দাবী করে ৭ কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করে। মিছিল চলাকালীন অবস্থায় যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিক সংবাদমাধ্যমে জানান, আজ আমাদের ৭১ এর পর বৃটিশ প্রবাসীদের প্রথম সর্ববৃহৎ পপদযাত্রা। এ পদযাত্রা বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার পদযাত্রা। এ পদযাত্রা মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার পদযাত্রা।

No description available.

সারা বিশ্বব্যাপী আলোড়ন তৈরি করেছে এ পদযাত্রা। শুধু বিএনপির নেতাকর্মীরা নয়, যারা কোন রাজনীতি সাথে সম্পৃক্ত না, সাধারণ জনগণও আজ রাজপথে এসেছে। তারা বৃটিশ হয়েও দেশের জনগণের শান্তি চায়। তাদের কোন দল নেই, তারা তাদের ভোটাধিকার ফিরে পেতে চায়। তারা দেশে গিয়ে ভোট দিয়ে জনগণের সরকার গঠন করতে চায়। তাই তারাও পরিবার নিয়ে আজ লন্ডনের রাজপথ। এসময় সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমদ বলেন, এ পদযাত্রা একটি ঐতিহাসিক পদযাত্রায় পরিণত হয়েছে। দীর্ঘ ৫২ বছর পর এমন পদযাত্রা প্রমাণ করে আমরা আবারও জনগণের স্বাধীনতা, ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে পারবো। আমরা সার্থক হয়েছি। আমরা বিশ্বকে বুঝাতে পেরেছি কেন আজ হাজার হাজার মানুষ লন্ডনের রাস্তায়। ইনশাআল্লাহ আমরা জনগণের সরকার কায়েম করবো।

No description available.

এছাড়া নেতাকর্মীরা জানান, আজকে এ বিশাল পদযাত্রা ফ্যাসিস্ট হাসিনার কাঁপন ধরাবে। সে চিন্তাও করতে পারবে না এতো হাজার বাংলাদেশি মানুষ তার পদত্যাগ চায়। দেশের কামলা থেকে আমলা পর্যন্ত কেউই তার পক্ষে নেই। তার সময় শেষ। তার এখন হাতিয়ার পুলিশ প্রশাসন। কিন্তু জোড় করে কতদিন চলবে। দেশ অচল হয়ে গেছে। মানুষ না খেয়ে থাকছে। দিনমজুররা চাল কেনার টাকা নাই, মাছ মাংস তো বিলাসিতা। এখন সময় এসেছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা বাংলাদেশের মানুষের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া

পদযাত্রায় আসা একজন মহিলা বলেন, আমি আমার পরিবার, ফ্রেন্ড সবাইকে নিয়ে এসেছি। আমরা চাই না বাংলাদেশ যে গণতন্ত্রহীনতায় ভোগতেছে এ অবস্থায় থাকুক। আমরা চাই, হাসিনাকে স্টেপ ডাউন করতে হবে। আমরা আমাদের বাংলাদেশকে ফেরত চাই।

গণপদযাত্রা শেষে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিক এবং সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমদ।

পূর্বের খবরবিশ্ব গুম দিবসে আবার স্বজনদের ফিরিয়ে দেয়ার আকুতি মানবাধিকার5 ঘণ্টা আগে
পরবর্তি খবরডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা বাতিলের দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ১৯ আন্তর্জাতিক সংস্থার খোলা চিঠি