নিউজ২১ডেস্কঃ যশোরের এসপির বদলি চেয়ে সিইসিকে জাপার ৬ প্রার্থীর চিঠি দেওয়ার ৬ ঘণ্টা পর অদৃশ্য কারণে প্রত্যাহার! যশোরের পুলিশ সুপার (এসপি) প্রলয় কুমার জোয়ারদারকে বদলির দাবি জানিয়ে চিঠি দেওয়ার ছয় ঘণ্টা পরে আবার ওই চিঠি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। যশোর জেলার ছয়টি সংসদীয় আসনের জাতীয় পার্টির (জাপা) ছয় প্রার্থী প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কাছে আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে পৃথক ছয়টি চিঠি দেন।
প্রলয় কুমার জোয়ারদার মনিরামপুরের বর্তমান সংসদ সদস্য এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্যের জামাতা। আত্মীয়তার এ সম্পর্ক আসন্ন নির্বাচন প্রভাবিত করতে পারে। এরই মধ্যে এসপি প্রলয় জোয়ারদারের নির্দেশে মনিরামপুর থানায় কর্মরত পুলিশ সদস্যরা প্রতিমন্ত্রী স্বপনের পক্ষ নিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন।
এর আগে এসপি প্রলয়কে প্রত্যাহার চেয়ে দেওয়া চিঠিতে যশোর-৫ আসনের জাপার প্রার্থী এম এ হালিম লেখেন, এসপি প্রলয় কুমার জোয়ারদার তিন বছর ধরে যশোর জেলায় কর্মরত। তিনি নেত্রকোনার স্থায়ী বাসিন্দা হলেও তাঁর শ্বশুরবাড়ি যশোরের মনিরামপুর উপজেলায়। আত্মীয়তার কারণে প্রলয় কুমারের সঙ্গে মনিরামপুর উপজেলাসহ পুরো যশোরের অনেক মানুষের ভালো সম্পর্ক রয়েছে।
এসপিকে প্রত্যাহার চেয়ে আবার কেন আবেদনই প্রত্যাহার করে নিলেন—এমন প্রশ্নে যশোর-৩ আসনের জাপার প্রার্থী মাহবুব আলম বলেন, ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু করতে এসপি প্রলয় কুমার জোয়ারদারকে প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করেছিলাম। বিকেলে দলের কেন্দ্রীয় মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর হস্তক্ষেপে ওই আবেদনপত্র আবার প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এসপি প্রলয়। এ বিষয়ে আমাদের আর কোনো অভিযোগ নেই। এটা আমাদের মধ্যে একটা ভুল বোঝাবুঝি ছিল।’
চিঠি দিয়ে চিঠি প্রত্যাহার করা ছয় জাপার প্রার্থী হলেন যশোর-১ আসনের মো. আক্তারুজ্জামান, যশোর-২ আসনের ফিরোজ শাহ, যশোর-৩ আসনের মো. মাহবুব আলম, যশোর-৪ আসনের জহুরুল হক, যশোর-৫ আসনের এম এ হালিম এবং যশোর-৬ আসনের জি এম হাসান।
বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এসে পৃথক ছয়টি চিঠি জমা দেন তাঁরা। তবে বিকেলে তাঁরা ছয়জনই একত্রে স্বাক্ষর করে একটি আবেদনপত্র দিয়ে আগের চিঠিগুলো প্রত্যাহার করে নেন।