কাদের সিদ্দিকীর দাবি, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাকে এই বাড়িটি দিয়েছেন। বাড়িটি তার দখলে থাকলেও কোনো কাগজপত্র ছিল না। সাফকবলা দলিল করে দেয়ায় এখন থেকে বাড়িটির বৈধ মালিক হলেন তিনি।
দলিল করে দেয়ার আগে গত ৫ জুলাই পরিত্যক্ত সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা বোর্ডের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার সাগুফতা হকের স্বাক্ষরিত চিঠিতে কাদের সিদ্দিকীর নামে বরাদ্দের কথা জানানো হয়।
ওই চিঠিতে কিছু শর্ত দেয়া হয়েছে। তা হচ্ছে, গণপূর্ত রক্ষণাবেক্ষণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কর্তৃক ধার্যকৃত হারে ভাড়া পরিশোধ করতে হবে। তবে শহীদ পরিবার বা যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্রপ্রাপ্ত হলে ধার্যকৃত ভাড়ার পরিমাণ অর্ধেক হবে। ধার্যকৃত ভাড়া গণপূর্ত রক্ষণাবেক্ষণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কর্তৃক ট্রেজারি চালান পাস করে নির্ধারিত কোড নম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংকে নিয়মিতভাবে পরিশোধ করতে হবে। কনজারভেন্সি, পানির বিল, পৌরকর, তিতাস গ্যাস বিল, বিদ্যুৎ বিল ইত্যাদি যথাযথভাবে বরাদ্দ পাওয়া ব্যক্তিকেই পরিশোধ করতে হবে।

সরকারের পূর্ব অনুমতি ছাড়া বাড়িটির কোনো প্রকার পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা মেরামত করা যাবে না। বাড়ির কোনো কিছু ক্ষতি বা বিনষ্ট হলে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর ধার্যকৃত পরিমাণ ক্ষতিপূরণ পরিশোধ করতে হবে। বাড়িটি কোনো অবস্থাতেই উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ছাড়া অন্য কারও কাছে হস্তান্তর করা যাবে না। তা করলে বরাদ্দপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে। বরাদ্দ পাওয়া ব্যক্তি নিজে না থেকে অথবা আংশিকভাবে থেকে যদি অন্য কাউকে ভাড়া দিয়ে থাকেন, তবে তার বরাদ্দপত্র তাৎক্ষণিকভাবে বাতিল করে সাত দিনের মধ্যে তাকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হবে।
সরকার যদি জনস্বার্থে নিজ দরকার বলে মনে করে বা এটিকে পরিত্যক্ত সম্পত্তি থেকে অবমুক্ত করে দেয়, তবে যথারীতি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বাড়িটি খালি করে দিতে হবে। এক্ষেত্রে সরকার বরাদ্দ দেয়া বাড়িটির পরিবর্তে অন্য কোনো বাড়ি বরাদ্দ দিতে বাধ্য থাকবে না।