‘নমনীয়তা, আলোচনা না সহিংসতা’ শিরোনামে ইউটিউবে ‘ডয়চে ভেলে খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়’ টকশো-তে আলোচক হিসেবে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মশিউর রহমান ৷
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সংবাদমাধ্যম বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে থাকে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যম কোন একটা দলকে সমর্থন করতে পারবে না কেন? অনুষ্ঠানের সঞ্চালক খালেদ মুহিউদ্দীন এ প্রশ্ন করলে তার জবাবে অধ্যপক আসিফ নজরুল বলেন, “পৃথিবীর আর কোনও দেশে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীকে তেল মারা হয় না। তাদেরকে জবাবদিহির আওতায় এনে প্রশ্ন করা হয়।”
অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া আরেক অতিথি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মশিউর রহমানকে “দলীয় সরকারের অধীনে বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে কিনা আপনি কি আমাদের দেখাতে পারবেন?” জানতে চাওয়া হলে তার জবাবে তিনি বলেন, ”অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন তো বাংলাদেশে হয়েছে। সবার কাছে শতভাগ গ্রহণযোগ্য হয়েছে কিনা সেটা আপেক্ষিক। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ৯০ এর পরবর্তীতে নির্বাচন অপেক্ষাকৃতভাবে সুষ্ঠু হয়েছে।”
তিনি আরও যুক্ত করেন, “দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে সেটি আমি বলবো না, কিন্তু নির্বাচন কম অংশগ্রহণমূলক হয়েছে।”
এই মন্তব্যের পাল্টা যুক্তিতে অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, “৯০ এর আগে ৭৩ এ নির্বাচন হয়েছে, যেটা মোটামুটি পরিচ্ছন্ন নির্বাচন ছিলো। এদেশের বিচার ব্যবস্থা স্বাধীন হলে ২০১৮ সালের নির্বাচনকে অবৈধ ঘোষণা করে বাতিল করা হতো।”
অ্যামেরিকার ভিসা নীতি ঘোষণার পর গত কয়েকদিনে সরকার দলীয় নেতাদের বক্তব্যের ধরন পরিবর্তনের বিষয়ে আলোচনার এক পর্যায়ে আসিফ নজরুল বলেন, “অ্যামেরিকাকে বাংলাদেশের এড়িয়ে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাজার অ্যামেরিকা। বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগও অ্যামেরিকার।”
কোন রাষ্ট্র ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিলেই বাংলাদেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে যাবে বাংলাদেশের এখন সেই অবস্থা নেই বলে বিশ্বাস করেন মশিউর রহমান।
তবে অধ্যাপক আসিফ নজরুল মনে করেন, “আওয়ামী লীগ সঠিকভাবে নির্বাচন করে, সুশাসন নিশ্চিত করে ক্ষমতায় থাকলে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু তারা দুর্নীতি, লুটপাট এর মাধ্যমে দেশকে খালি করেছে এবং আইনের শাসন নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে।”