মহানায়ক উত্তমকুমার ছবি পিছু প্রযোজকদের কাছে কত টাকা পারিশ্রমিক নিতেন?

72
নিউজ২১ডেস্কঃ মহানায়ক উত্তমকুমার ছবি পিছু কত টাকা পারিশ্রমিক নিতেন উত্তমকুমার, প্রযোজকেরা কী করতেন? উত্তমকুমার ছবিতে আছেন মানেই সেই ছবি হিট। পর্দায় এসে একবার একগাল হাসলেই টিকিটের পয়সা উসুল দর্শকের। তাঁকে ছবিতে কাস্ট করার বিনিময়ে যে কোনও মূল্য দিতে রাজি ছিলেন প্রযোজকেরা। জানেন ছবি পিছু কতটাকা পারিশ্রমিক নিতেন উত্তমকুমার?

 

 

 

রুপোলি পর্দায় তাঁর ক্রেজ় কমে যাবে, এই আশঙ্কায় লোকের সামনে আসতেন না উত্তমকুমার। সহ-অভিনেতাদের ধমক দিতেন জোর গলায়। উত্তমকুমার সিনেমায় থাকা মানে সিনেমা হিট। তাই তাঁকে যে কোনও মূল্যের বিনিময়ে সিনেমায় কাস্ট করতেন প্রযোজকেরা। ছবি পিছু কত টাকা পারিশ্রমিক নিতেন উত্তম, জানেন?

 

তাঁর পিতৃপ্রদত্ত নাম অরুণকুমার চট্টোপাধ্যায়। সিনেমায় আসার পর একটি স্ক্রিন নাম হল–উত্তমকুমার। এই নামের যথার্থতা বজায় রেখেছেন উত্তম। বাংলা সিনেমা জগতের সর্বকালের ‘উত্তম’ সুপার তারকা হিসেবে শীর্ষ আসনে বসে আছেন মহানায়ক।

 

 

উত্তমকুমার

 

অনেকেই মনে করেন, সেই সিংহাসনে এখনও কেউ বসতে পারেননি। উত্তমকুমারের জনপ্রিয়তা আজও গগনস্পর্শী। তাঁকে সামনাসামনি খুব কম মানুষ দেখেছেন। প্রতি ছবি পিছু লাখ-লাখ টাকা পারিশ্রমিক নিতেন উত্তম। সেই সময় ছবি পিছু তাঁর ফিজ় ছিল ৪-৫ লাখ টাকা। এই সময় দাঁড়িয়ে তা হবে এক কোটি টাকার কাছাকাছি।

উত্তমকুমার কোন অভাবে টালিগঞ্জের রাস্তায় ভিক্ষা করতে বাধ্য হয়েছিলেন?

সত্য ফাঁস করলেন মাধবী মুখোপাধ্যায় বলেছেন, “সবটাই আমার চোখের সামনে ঘটেছে। সহকারীদের সঙ্গে নিয়ে টালিগঞ্জের রাস্তায় ভিক্ষা করেছিলেন আমাদের মহানায়ক…।” ঠিক কী ঘটেছিল, কেন উত্তমকুমারের মতো একজন মহানায়ককে রাস্তা নেমে লোকের কাছে টাকা ভিক্ষা করতে হয়েছিল, জানিয়েছিলেন মাধবী। শুনলে চমকে যাবেন।

 

বাংলা সিনেমার স্বর্ণযুগের মাঝ আকাশে যে তারাটি সবচেয়ে বেশি জ্বলজ্বল করত, তাঁর নাম উত্তমকুমার। প্রতি ছবি পিছু ৪-৫ লাখ টাকা পারিশ্রমিক চাইতেন উত্তম। বর্তমান সময়ের নিরিখে তা প্রিয় এক কোটি টাকার কাছাকাছি। তাঁকে ছবিতে নেওয়ার জন্য যে কোনও মূল্য দিতে রাজি হতেন প্রযোজকেরাও। টাকা পয়সার অভাব ছিল না উত্তমকুমারের। কিন্তু তা সত্ত্বেও টালিগঞ্জে ভিক্ষা করেছিলেন উত্তম। কী ঘটেছিল মহানায়কের জীবনে, সত্যি জানিয়েছেন অভিনেত্রী মাধবী মুখোপাধ্যায়। ক্যামেলিয়া প্রযোজনা সংস্থার সাইটে আপলোড হয় সেই ভিডিয়ো। যেখানে মাধবীকে বলতে শোনা যায় কথাগুলো। তিনি বলেছেন, “সবটাই আমার চোখের সামনে ঘটেছে। সহকারীদের সঙ্গে নিয়ে টালিগঞ্জের রাস্তায় ভিক্ষা করেছিলেন আমাদের মহানায়ক…।” ঠিক কী ঘটেছিল, কেন উত্তমকুমারের মতো একজন মহানায়ককে রাস্তা নেমে লোকের কাছে টাকা ভিক্ষা করতে হয়েছিল, জানিয়েছিলেন মাধবী। শুনলে চমকে যাবেন।
সেই সময় বন্যা হয়েছিল। বীভৎস বন্যা। চারিদিকে হাহাকার। মানুষের আর্তনাদ মোটে সহ্য করতে পারতেন না উত্তম। তাঁর নরম মন কাঁদত তা শুনে। নিজের সবটুকু উজাড় করতে দিতে চাইতেন। মাধবী জানিয়েছিলেন, মহানায়ক উত্তমকুমারকে তারকা হিসেবেই সকলে চেনেন, কিন্তু মানুষ উত্তমকে চেনার সৌভাগ্য তাঁর হয়েছিল। বলেছিলেন, “বন্যার সময় চারদিকের পরিস্থিতি, মানুষের হাহাকার দেখে উত্তমদা ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। তাঁর কাছে যা টাকাপয়সা ছিল, তা দিয়ে তো ত্রাণের কাজ সম্পূর্ণ হত না। তাই সহকারীদের সঙ্গে নিয়ে টালিগঞ্জের রাস্তায়-রাস্তায় ভিক্ষাও করেছিলেন তিনি।”কোন অভাবে টালিগঞ্জের রাস্তায় ভিক্ষা করতে বাধ্য হয়েছিলেন উত্তমকুমার? সত্য ফাঁস করলেন মাধবী মুখোপাধ্যায়...
পূর্বের খবরForeign envoys given ‘Mango Tour’ in Chapainawabganj
পরবর্তি খবর“ফুলকির আয়োজনে ‘আমাদের শিশুরা’ নাটকের প্রদর্শনী”