বুধবার রাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জেএন-১ নামের ওই ধরনটি ভারত, চীন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ বিশ্বের অনেক দেশেই পাওয়া গেছে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মনে করে, এই ভাইরাসটি ভ্যাকসিন নেওয়া মানুষদের জন্য কম ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
তারপরও এই শীতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছে সংস্থাটি। উত্তর গোলার্ধে ইতিমধ্যেই সর্দি-কাশি, শ্বাসযন্ত্রে ভাইরাস সংক্রমণসহ শিশুদের নিউমোনিয়ার প্রবণতা বেড়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনার জন্য দায়ী কোভিড-১৯ ভাইরাস সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ক্রমাগত পরিবর্তিত হয় এবং কখনো কখনো এটি নতুন রূপের বিকাশ ঘটায়। উদাহরণস্বরূপ—ওমিক্রন ধরনটির কথাই ধরা যাক। মহামারির শেষের দিকে এটি করোনার শক্তিশালী ধরন হিসেবে বিশ্বজুড়ে আত্মপ্রকাশ করেছিল। সেই ওমিক্রনেরই উপধরন জেএন-১।
মার্কিন রোগ নিয়ন্ত্রণ ও নিরাময় কেন্দ্রের তথ্য অনুসারে—দেশটিতে বর্তমানে জেএন-১ ধরনটিই সবচেয়ে দ্রুত এবং বেশি হারে ছড়াচ্ছে। দেখা যাচ্ছে, সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে এমন রোগীদের ক্ষেত্রে ১৫ থেকে ২৯ শতাংশ মানুষই এই ধরনে আক্রান্ত হয়েছেন।
চলমান শীতের মধ্যে এটি বিভিন্ন দেশে সংক্রমণ বাড়িয়ে দিতে পারে। তা ছাড়া এখন পর্যন্ত যেসব ভ্যাকসিন নেওয়া হয়েছে সেগুলো এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে কতটা কার্যকর—সেই বিষয়ে প্রমাণ এখনো সীমিত।
এ অবস্থায় নতুন ভাইরাসটিকে এড়ানোর জন্য কিছু পরামর্শও দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। জনসাধারণের ভিড় এবং আবদ্ধ স্থানগুলোতে মুখে মাস্ক পরিধান করা ছাড়াও হাঁচি-কাশি ঢেকে রাখা, প্রতিদিন হাত পরিষ্কার করা, আপডেট ভ্যাকসিনগুলো নেওয়া, অসুস্থ হলে বাড়িতে থাকা এবং সন্দেহ হলে পরীক্ষা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।