বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘এরা (নির্বাচন কমিশন) নতুন দুটি দলকে নিবন্ধন দিয়েছে। যে দল দুটি কেউ চেনে না। কারণ কি জানেন? এই আওয়ামী লীগ সরকার, এই দল দিয়ে নির্বাচন নির্বাচন খেলা খেলতে চায়। কিন্তু এবার সেই খেলা খেলতে দেওয়া হবে না।’আজ শুক্রবার রাজধানীর বাড্ডা সুবাস্তু টাওয়ার থেকে গণমিছিল শুরুর আগে দেওয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। এরপর তার নেতৃত্বে ঢাকা উত্তর বিএনপির মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি রামপুরা হয়ে মালিবাগ চৌধুরীপাড়া আবুল হোটেলের কাছে এসে শেষ হয়। অন্যদিকে, ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির গণমিছিল কমলাপুর স্টেডিয়াম থেকে শুরু হয়ে মালিবাগ রেলগেটে এসে শেষ হয়। এর নেতৃত্ব দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
বিএনপির গণমিছিল কর্মসূচির কারণে রাজধানীর বাড্ডা–মালিবাগ এলাকায় সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও যানজট হয়েছে। এই কর্মসূচি উপলক্ষে আজ শুক্রবার বেলা তিনটা থেকে বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী বাড্ডা এলাকার প্রগতি সরণি ও বীর উত্তম রফিকুল ইসলাম সরণিতে অবস্থান নেন। সড়কে অবস্থান নিয়ে নেতা-কর্মীদের মিছিল-স্লোগানের কারণে সড়কের একপাশে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এর প্রভাব পড়ে রাস্তার অন্য পাশেও। তীব্র যানজটে আটকা পড়েন বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হওয়া শত শত মানুষ।
সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি আজ ওই এলাকায় গণমিছিল কর্মসূচির আয়োজন করে। বাড্ডার সুবাস্তু টাওয়ারের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে বিকেল পৌনে চারটার দিকে গণমিছিল শুরু করে বিএনপি। বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে মিছিলটি মালিবাগ এলাকার আবুল হোটেলের সামনে পৌঁছায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, বেলা তিনটার দিকে নেতা-কর্মীদের অবস্থানের কারণে বাড্ডা এলাকার উত্তর দিকে প্রগতি সরণিতে সড়কের পূর্ব পাশে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। সড়কটির নতুনবাজার এলাকা থেকে প্রায় কুড়িল-বিশ্বরোড অংশ পর্যন্ত তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। আর বাড্ডার দক্ষিণ দিকে বীর উত্তম রফিকুল ইসলাম সরণিতে সড়কের পশ্চিম পাশে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজটের। বেলা সাড়ে তিনটা পর্যন্ত সড়কে আটকে পড়া যানজটের সারি রামপুরা ইউলুপ এলাকা ছাড়িয়ে যেতে দেখা যায়। এ সময় উভয় পাশেই যানজটে আটকে পড়া যাত্রীদের হেঁটে হেঁটে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হতে দেখা যায়। অনেকে আবার চুক্তিতে রাইড শেয়ারিং মোটরসাইকেলচালকদের মাধ্যমে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হন।
ইমরান হোসেন নামের এক তরুণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার টিএসসিতে যাবেন। তিনি জানান, বেলা আড়াইটার পর থেকে নতুন বাজার এলাকায় যানজটে আটকা পড়েন তিনি। পরে সেখান থেকে তিনটার দিকে গাড়ি থেকে নেমে হাঁটা শুরু করেন। বাড্ডার হোসেন মার্কেট এলাকা পর্যন্ত হেঁটে আসতে সময় লাগে প্রায় আধা ঘণ্টা।
সেখানে একজন মোটরসাইকেলচালকের সঙ্গে চুক্তিতে ৩৫০ টাকায় তাঁকে টিএসসির উদ্দেশে রওনা হতে দেখা যায়। বিএনপির গণমিছিল মালিবাগে পৌঁছানোর সময় পেছনে সড়কে বহু দূর পর্যন্ত গাড়ি আটকে থাকতে দেখা যায়।
হাতুড়ি বাহিনী দিয়ে নেতা–কর্মীদের আঘাত করা হচ্ছে: মির্জা আব্বাস
বিএনপির নেতা–কর্মীদের হাতুড়ি বাহিনী দিয়ে আঘাত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেছেন, ‘পুলিশের গুলিতে আমাদের অনেক নেতা–কর্মী আহত হয়েছেন, অনেকের চোখ পর্যন্ত নষ্ট হয়ে গেছে। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য শেখ হাসিনা পৈশাচিক কায়দায় নির্যাতন চালাচ্ছে।’
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর কমলাপুর স্টেডিয়ামের সামনে গণমিছিলের আগে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা আব্বাস এসব কথা বলেন। শেখ হাসিনার পদত্যাগসহ নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার এক দফা দাবিতে গণমিছিলের আয়োজন করে বিএনপি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বেলা দেড়টা থেকেই বিএনপির নেতা–কর্মীরা ছোট ছোট মিছিল নিয়ে কমলাপুর স্টেডিয়ামের (বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল, কমলাপুর জাতীয় স্টেডিয়াম) সামনে আসা শুরু করেন। কর্মসূচি উপলক্ষে স্টেডিয়ামের দক্ষিণ পাশের খোলা জায়গায় একটি পিকআপ ভ্যানে অস্থায়ী মঞ্চ তৈরা করা হয়।
বেলা পৌনে তিনটার দিকে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শুরু হয়। বিকেল পৌনে চারটার দিকে সমাবেশ শেষ হলে মিছিল বের করেন বিএনপির নেতা–কর্মীরা। মিছিলটি মালিবাগ রেলগেট সংলগ্ন কাঁচা বাজারে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় পুলিশ দিয়ে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না, হামলা করে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না স্লোগান দেন তাঁরা। বিএনপির কর্মসূচি কেন্দ্র করে কমলাপুর ও আশপাশের এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মির্জা আব্বাস বলেন, তাঁদের গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে কোনো হানাহানি নেই। কিন্তু সরকার মিছিল করা, অবস্থান করা ও কথা বলার অধিকারের মতো গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে।
আগামী জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘শুনলাম উনি (নির্বাচন কমিশন) নাকি ১৫ নভেম্বর তফসিল ঘোষণা করবেন। তফসিল ঘোষণা করবে তথাকথিত নির্বাচন কমিশন। যে নির্বাচন কমিশন আমরা মানি না। যে নির্বাচন কমিশন এই নিশিরাতের সরকারের নির্বাচিত কমিশন। নির্বাচন কমিশনকে হুঁশিয়ার করতে চাই, সরকারি আদেশ মেনে আপনারা যে কাজ করছেন, অন্যায় করেছেন।’
নির্বাচন কমিশনকে উদ্দেশ করে মির্জা আব্বাস আরও বলেন, ‘আপনাদের নির্বাচন করার সাংবিধানিক অধিকার নেই। আমরা সেই নির্বাচনকে অবশ্যই প্রতিহত করব। এই সরকারের অধীনে বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হবে না। হতে দেওয়া হবে না।’
সমাবেশে দলের স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় দলীয় নেতা–কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করছি। তবে কেউ যদি অশান্তি সৃষ্টি করে, তাদের দাঁতভাঙা জবাব দিতে কখনো কৃপণতা করবেন না। আমরা জনগণের পক্ষে। জনগণের জয় নিশ্চিত করার দায়িত্ব নিয়েছি।’
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আরও বলেন, ‘এই সরকার কোনো পাতানো নির্বাচন করলে নেতা–কর্মীরা সজাগ থাকবেন, তাদের উচিত জবাব দেবেন।’
আর গণমিছিলের আগে সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেন, এই সরকার বিদায় না নেওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরে যাব না। আওয়ামী লীগের অধীনে কোনো নির্বাচন হতে পারে না। এই সরকারের সময় শেষ। তাদের বিদায় নিতে হবে।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুল সালাম বলেন, ‘টিয়ার গ্যাস ছুড়ে, গুলি করে বিএনপির নেতা–কর্মীদের ঘরে ঢুকিয়ে রাখা যাবে না। আগামীতে সাজানো নির্বাচন হবে না। গত ২৯ জুলাইয়ের অবস্থান কর্মসূচি ছিল মহড়া। ফাইনাল শুরু হলে আওয়ামী লীগ চোখে অন্ধকার দেখবে। দরকার হলে বুকের রক্ত ঢেলে দেব, তবু শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে যাব না।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সদস্যসচিব তানভীর আহমেদের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন, বরকতউল্লা, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল প্রমুখ।
আওয়ামী লীগ সরকারের আয়ু শেষ হয়ে গেছে: গণতন্ত্র মঞ্চ
বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আয়ু শেষ হয়ে গেছে বলে দাবি করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। তাঁরা বলেন, লুটপাটের ভাগীদার ছাড়া কেউ আওয়ামী লীগের পাশে নেই। ক্ষমতায় থাকতে বিভিন্ন দেশে ও দূতাবাসগুলোতে দৌড়াচ্ছেন আওয়ামী লীগের নেতারা।
আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত সমাবেশে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা এসব কথা বলেন। সরকার পতনের এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আয়োজিত গণমিছিলের আগে এই সমাবেশের আয়োজন করে গণতন্ত্র মঞ্চ।
সরকার পতনের আন্দোলন বিজয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা ও নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, ‘আওয়ামীপন্থী ব্যবসায়ীরা এখন চিন্তায় পড়ে গেছেন। আওয়ামী লীগের নেতারা সব জায়গায় দৌড়াচ্ছেন। যত চেষ্টাই করেন, আন্দোলন থামাতে পারবেন না। সরকার সংবিধানের যে পঞ্চদশ সংশোধনীর দোহাই দেয়, তার কোনো বৈধতা নেই।’
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, পুলিশ মিছিলে গুলি চালিয়ে হত্যা করা শুরু করেছে। ইতিহাস বলে, যে সরকার মিছিলে গুলি করে, তাদের আয়ু শেষ হয়ে আসে। শেখ হাসিনার সরকারেরও আয়ু নেই, তার লক্ষণ পরিষ্কার। এখন বিদেশি দূতদের খুশি করার চেষ্টা করছে আওয়ামী লীগ। ভারতে প্রতিনিধিদল যায়, চীনে শরিকেরা যায়।
গত মঙ্গলবার ওয়াশিংটনভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের (আইআরআই) এক জনমত জরিপে এসেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সরকারের কার্যক্রমের প্রতি সমর্থন রয়েছে ৭০ ভাগ মানুষের। গণতন্ত্র মঞ্চের সমাবেশে নেতারা এই জরিপের ফলাফলের সমালোচনা করেন।
জরিপের ফলাফলকে ‘ভুয়া’ মন্তব্য করে জোনায়েদ সাকি বলেন, মানুষের চোখে ধুলা দিতে বিদেশি সংস্থাকে দিয়ে জরিপ করিয়েছে সরকার। এতই যদি জনপ্রিয়তা, তাহলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দেন। এই জরিপ জনগণের মতামতের প্রতিফলন নয়।
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ভাড়াটে গবেষণাপ্রতিষ্ঠানকে দিয়ে জরিপ চালানো হয়েছে। ৭০ শতাংশ মানুষের সমর্থন থাকলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে ভয় কেন? লুটপাটের ভাগীদারদের ছাড়া কেউ এই সরকারের পাশে নেই।
ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বলেন, যারা দেশ থেকে অর্থ পাচার করেছে, তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে।
বিএনপির নিবন্ধন বাতিল ও দলটির রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবিতে নির্বাচন কমিশনে (ইসি), স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দিয়েছে যুবলীগ।
বিএনপির নিবন্ধন বাতিলের প্রসঙ্গ টেনে সমাবেশের সভাপতি বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, দেশের প্রধান বিরোধী দল যারা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করছে, তাদের নিষেধাজ্ঞা দিতে চায়। অথচ জনগণ অনেক আগেই আওয়ামী লীগকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। সরকারের আগুন সন্ত্রাসের খেলা জনগণ ধরে ফেলেছে। সরকার জোর করে ক্ষমতায় থাকতে চাইলে দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট হবে।
সমাবেশ শেষে একটি মিছিল প্রেসক্লাব থেকে শুরু করে পল্টন, জিরো পয়েন্ট ঘুরে আবার পল্টন মোড়ে এসে শেষ হয়। মিছিল শেষে জানানো হয়, সরকার পতনের এক দফা দাবিতে খুব শিগগির যুগপৎ আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
সরকারের পদত্যাগ দাবিতে গণ অধিকার পরিষদের একাংশের পদযাত্রা
বর্তমান সরকারের পদত্যাগের দাবিতে রাজধানীতে পদযাত্রা করেছেন রেজা কিবরিয়া নেতৃত্বাধীন গণ অধিকার পরিষদের একাংশের নেতা-কর্মীরা। শুক্রবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাব ও এর আশপাশের এলাকায় এ পদযাত্রা হয়।
পদযাত্রার আগে প্রেসক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে দলটির ভারপ্রাপ্ত সদস্যসচিব ফারুক হাসান বলেন, সরকারের পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের আন্দোলনে গণ অধিকার পরিষদ বরাবরের মতো মাঠে থাকবে। যত দিন না শেখ হাসিনার পতন হয়, তত দিন বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর যুগপৎ আন্দোলনে রাজপথে থাকবে গণ অধিকার পরিষদ।
গণ অধিকার পরিষদের এই অংশের যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল মালেক ফারাজি বলেন, রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিতে সরকারি বাহিনীর তাণ্ডব বিশ্ববাসী দেখেছে। জনগণকেই তাদের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার করতে হবে বলে মনে করেন গণ অধিকার পরিষদের যুগ্ম সদস্যসচিব তারেক রহমান। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন গণ অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক সাদ্দাম হোসেন।
২০১৪-২০১৮ সালের মতো নির্বাচন আর হতে দেওয়া হবে না: সিপিবির সমাবেশে বক্তারা
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সমাবেশে নেতারা বলেছেন, আগামী ডিসেম্বর অথবা জানুয়ারিতে আবারও পুরোনো কৌশলে ক্ষমতায় আসতে চায় আওয়ামী লীগ সরকার। কিন্তু ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো দেশে আর কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। চলতি নির্বাচনব্যবস্থা কার্যকারিতা হারিয়েছে।
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনে এক সমাবেশে সিপিবির নেতারা এসব কথা বলেন।
বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন, সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচনব্যবস্থার দাবিসহ বিভিন্ন দাবিতে সিপিবি এ সমাবেশের আয়োজন করে।
সমাবেশে সিপিবির সভাপতি শাহ আলম বলেন, ‘বর্তমান সরকার বলছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে তারা একচুলও ছাড় দেবে না। অন্যদিকে বিএনপি বলছে, সরকার পতনের এক দফা দাবি আদায় ছাড়া তারা নির্বাচনে যাবে না। অর্থাৎ দেশে রাজনৈতিক অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। রাজনীতি আর জনগণের হাতে নেই। সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলো রাজনীতির ক্রীড়নক হয়ে গেছে। আমরা চাই, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। নির্বাচনে পেশিশক্তি ও কালোটাকার প্রভাব বন্ধ করতে হবে। দিনের ভোট রাতে করার প্রশাসনিক তৎপরতা বন্ধ করতে হবে।’
সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন ক্ষমতায় আছে। জনগণ ভোট দিলে আপত্তি ছিল না। কিন্তু জনগণের ভোট ছাড়া ক্ষমতায় থাকার নৈতিক অধিকার সরকারের নেই। ভোটবিহীন সরকারকে আমরা এক সেকেন্ডও ক্ষমতায় দেখতে চাই না।’
সংকট অনেক ‘গভীরে’ উল্লেখ করে রুহিন হোসেন বলেন, জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া এই সরকার সাধারণ মানুষ ও শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। উপরন্তু তাদের একের পর এক গণবিরোধী সিদ্ধান্ত জনজীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। ‘লুটপাটতন্ত্র’ বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ফোকলা করে দিয়েছে।
সমাবেশ সঞ্চালনা করেন সিপিবির সহকারী সম্পাদক মিহির ঘোষ। সমাবেশে শ্রমিকনেতা মাহবুব আলম, কেন্দ্রীয় নেতা সাজেদুল হক, হাফিজুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য দেন।
সিপিবির সভাপতি শাহ আলম আগামী দুই মাসব্যাপী উপজেলা ও জেলা শহরে মিছিল ও সমাবেশ এবং সেপ্টেম্বরের শেষে গণজাগরণ অভিযান কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
সাইবার নিরাপত্তা আইন আসলে ‘আই ওয়াশ’: ঢাকায় বাসদের সমাবেশ
ক্ষমতা টিকিয়ে রাখা ও বিরোধী মতকে দমনের জন্য সরকার এবার সাইবার নিরাপত্তা আইন করতে যাচ্ছে বলে মনে করে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)। দলটির নেতারা দাবি করেছেন, বর্তমান সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে যে লড়াই, তা দমন করার জন্যই সাইবার নিরাপত্তা আইনের বিষয়টি সামনে আনা হয়েছে। সাইবার নিরাপত্তা আইন আসলে ‘আই ওয়াশ’ (লোকদেখানো), এটি মানুষের সঙ্গে ‘প্রতারণা’।
‘সাইবার নিরাপত্তা আইন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের খোলস বদল মাত্র’—এই ব্যানারে আজ শুক্রবার সকালে ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাসদ। দলের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন বাসদের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নিখিল দাস ও সদস্য জুলফিকার আলী।
সমাবেশে বাসদ নেতারা বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে লেখক মুশতাককে জীবন দিতে হয়েছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরা প্রায় এক বছর ধরে কারাবন্দী। সাত হাজারের বেশি মামলা হয়েছে। নিবর্তনমূলক এই আইন বাতিলের দাবিতে দেশের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে সোচ্চার। জাতিসংঘসহ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংস্থাও এই আইন বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছে। নানামুখী চাপে পড়ে সরকার আইনটি বাতিল না করে পরিবর্তন করছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বেশির ভাগ ধারা নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইনেও থাকবে। নতুন আইনের নামে জনগণের সঙ্গে ‘প্রতারণা’ বলেও উল্লেখ করেন বাসদ নেতারা। সমাবেশ শেষে বাসদের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।
নজিরবিহীন লুটপাট করে সরকার দেশকে সংকটে ফেলেছে: এবি পার্টি
নজিরবিহীন লুটপাট করে আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে গভীর সংকটে ফেলেছে। এখন তারা দেশকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করতে চায়।
সরকারের পদত্যাগের দাবিতে আজ শুক্রবার রাজধানীর বিজয়নগরের বিজয় একাত্তর চত্বরে এক বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) নেতারা। দলের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়েছে।
সমাবেশে এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান বলেন, সরকার রুচির ভয়াবহ অবক্ষয়ের মধ্যে পড়েছে। বিগত দুই জাতীয় নির্বাচনে তারা জাতীয় পার্টিকে বিরোধী দল হিসেবে বেছে নিয়েছিল। এবার জাতীয় পার্টির ওপরও তাদের ভরসা নেই বলে মনে হচ্ছে। তিনি বলেন, এবার সরকার সুপ্রিম পার্টি, বিএনএম, ইনসানিয়াত বিপ্লব পার্টির মতো দলগুলোকে বিরোধী দল বানাতে চায়।
জনগণের দাবি মেনে পদত্যাগ না করলে গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটানো হবে বলেও মন্তব্য করেন মজিবুর রহমান।
এবি পার্টির যুগ্ম সদস্যসচিব আসাদুজ্জামান বলেন, নির্বাচন কমিশন যাকেতাকে দল হিসেবে নির্লজ্জভাবে নিবন্ধন দিচ্ছে, শুধু রাজনৈতিক দল ছাড়া। এক-এগারোর সময় রাজার বানানো দল দেখা গেছে, কিন্তু সেই দলের কোনো খবর এখন নেই।
এবি পার্টির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক বি এম নাজমুল হকের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র সহকারী সদস্যসচিব আনোয়ার সাদাতের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে দলের দপ্তর সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন, যুবপার্টির আহ্বায়ক এ বি এম খালিদ হাসান, মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আলতাফ হোসাইন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বিজয় একাত্তর চত্বর থেকে শুরু হয়ে কাকরাইল, বিজয়নগর, পল্টনসহ রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বলে উল্লেখ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
সরকারের হাতে দেশ-জনগণ নিরাপদ নয়: নুর
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।
বর্তমান সরকারের হাতে এখন দেশ ও জনগণ নিরাপদ নয় বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।
আজ শুক্রবার বিকেলে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নুরুল হক নুরকে হত্যা চেষ্টার জন্য হামলাকারীদের গ্রেপ্তার, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লাসহ আটক সকল বন্দিদের মুক্তি ও যুগপৎ আন্দোলনের এক দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও গণমিছিলে তিনি এক কথা বলেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, আওয়ামী লীগ মুখে অসাম্প্রদায়িকতার কথা বললেও অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকতে এখন ভারতের সাম্প্রদায়িক দল বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। কিছুদিন আগে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল ভারতে গেছে। ক্ষমতায় থাকতে ভারতের সাম্প্রদায়িক দল বিজেপির সঙ্গে চুক্তি করেছে। তারা যেন আওয়ামী লীগকে আবার ক্ষমতায় আনে। তাই এদের হাতে এখন আর দেশ-জনগণ, দেশের মানুষের ধর্ম-কর্ম নিরাপদ নয়।
নুর আরও বলেন, ‘সরকার দুইটি কারণে আমার ওপর ক্ষুব্ধ। একটি হলো প্রতিনিয়ত এই সরকারের অন্যায়-অবিচার, দুর্নীতি-দুঃশাসন নিয়ে রাজপথে সোচ্চার থাকায়। অন্যটি হলো এই সরকারের ফাদার-মাদার, যারা এই সরকারকে ক্ষমতায় এনে টিকিয়ে রেখেছে, সেই ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কথা বলায়। এসব কারণে বারবার আমার ও আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করে। আমাদের ছাত্র, যুব, শ্রমিকসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের প্রতি নজরদারি, হুমকি-ধামকি দিচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নিজেদের সেইফ এক্সিটের জন্য হলেও অনতিবিলম্বে ছাত্রনেতা বিন ইয়ামিন মোল্লা, গোপালগঞ্জের ছাত্রনেতা ঈসমাইলসহ সকল বন্দিদের মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে অনতিবিলম্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মেনে নিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।’
সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার জন্য বিদেশিদের কাছে ধর্না শুরু করেছে। তবে এইবার আর বিদেশি হস্তক্ষেপে ক্ষমতা থাকা যাবে না। এইবার গণআন্দোলনের মাধ্যমেই আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হবে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল না করে নতুন নাটক শুরু করেছে। কোন নিপীড়নমূলক আইন মানা হবে না। নির্বাচন কমিশন নামসর্বস্বদের নিবন্ধন দিয়েছে, ভুঁইফোড় পর্যবেক্ষক সংস্থাকে পর্যবেক্ষক করার অনুমোদন দিয়েছে। নির্বাচন কমিশন অবৈধ সরকারকে আবারও ক্ষমতা আনার চেষ্টা করলে, এই নির্বাচন কমিশনের উপর নিষেধাজ্ঞা আসবে। সুতরাং ১৪ ও ১৮ মার্কা নির্বাচন করার পায়তারা করবেন না।
বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে পল্টন কার্যালয়ের সামনে থেকে গণমিছিল শুরু করে, ফকিরাপুল, নয়াপল্টন, নাইটিংগেল মোড়, বিজয়নগর, গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট ঘুরে পল্টন মোড়ে এসে শেষ হয়।
গণঅধিকার পরিষদের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সোহরাব হোসেন ও সাবেক যুগ্ম সদস্যসচিব মশিউর রহমানের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন, গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, হানিফ খান সজিব, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, ফাতেমা তাসনিম, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক বিপ্লব কুমার পোদ্দার, মাহফুজুর রহমান, সাবেক সহকারী আহ্বায়ক বায়জিদ শাহেদ, সাবেক যুগ্ম সদস্যসচিব জিলু খান, সাবেক সহকারী সদস্যসচিব আনিসুর রহমান মুন্না, সাবেক সদস্য তোফাজ্জল হোসেন, ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদিব, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ, সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমানসহ আরও অনেকে।
বর্তমান সরকারের বিদায় ছাড়া দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: ১২ দলীয় জোট
শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর বিজয়নগরে এক গণমিছিল পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।
সমাবেশে ১২ দলীয় জোট প্রধান ও জাতীয় পার্টির (জাফর) সভাপতি মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির নেতৃত্বে চলমান সরকার পতনের আন্দোলনে বিএনপিসহ অন্যান্য দল ও জোটের যুগপৎ কর্মসূচির আওতায় আজকের এই গণমিছিল অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, দেশ এবং দুনিয়া দেখছে দেশের সিংহভাগ মানুষ শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশ ও মিছিলের মাধ্যমে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে রাজপথে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত জনগণের ভোটের অধিকারের দাবিতে আন্দোলন চলবে।
জোটের মুখপাত্র কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক বলেন, বিদেশিদের ওপর ভরসা করে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটানো বাস্তবসম্মত নয়। সবাইকে মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে বিদায় করতে হবে।
তিনি বলেন, আজকে দেশে ব্যাংক লুটপাট চলছে। দেশের ছয়টি ব্যাংক থেকে ৫০ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে গেছে। এদের তো ফাঁসি হওয়া উচিত। তাহলে আর পদত্যাগ করা লাগবে না। আমরা এই দাবি আদায় পর্যন্ত রাজপথে আছি এবং থাকবো।
সমাবেশ শেষে সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে বিজয়নগর পানির ট্যাঙ্কি সংলগ্ন সড়ক থেকে মিছিল বের হয়, যা শান্তিনগর মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব এ এস এম শামীমের উপস্থাপনায় সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় দলের মহাসচিব রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।