‘ডয়চে ভেলে খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়’ টকশোর এবারের বিষয় ছিল ‘নির্বাচনের আমি, তুমি, ডামি কে বা কারা ?’৷ এতে আলোচক হিসেবে ছিলেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন এবং দৈনিক আমাদের নতুন সময় পত্রিকার ইমিরেটাস এডিটর নাঈমুল ইসলাম খান৷
সিনিয়র এই সম্পাদক বলেন, “বিএনপির প্রথম কাজ নির্বাচনে আসা। তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করলে নির্বাচনে আসতো৷”
‘বাংলাদেশের নাগরিকরা কি প্রজায় পরিণত হয়েছে?’ সঞ্চালকের এমন প্রশ্নের জবাবে নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, “আমার এখনও ক্ষীণ আশা আছে, বিএনপি নির্বাচনে আসতে পারে। সাংবিধানিকভাবে বিএনপিকে এখনও নির্বাচনে আনার সুযোগ আছে। বিএনপি আসলেই মুহূর্তের মধ্যে দৃশ্যপট বদলে যাবে।”
বিএনপির এখন নির্বাচনে আসার সুযোগ আছে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “এটা আমার উইশফুল থিঙ্কিং। আমি চাই যে বিএনপি আসুক।”
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেনের কাছে খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চান, সংবিধান অনুযায়ী নিবাচন কমিশন অন্তর্নিহিত শক্তি ব্যবহার করেনি কেন বা করতে পারছে না কেন? উত্তরে তিনি বলেন, “সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনে যে পাঁচজন কমিশনার আছেন, তাদের নিজেদের মধ্যেই বিভিন্ন বিষয়ে মতবিরোধ আছে।”
ক্ষমতা থাকা স্বত্ত্বেও নির্বাচন কমিশন যদি দুর্বল থাকে তাহলে তাদেরকে ‘তাবেদার’ বলা যায় কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমি যেহেতু নির্বাচন কমিশনের পার্ট ছিলাম, তাই আমি আসলে তাদেরকে তাবেদার না বলে বলবো তারা অনেক দুর্বল।”
নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক দেখাতে পরিসংখ্যান খুব বড় ভূমিকা রাখে না বলে উল্লেখ করেন সাখাওয়াত হোসেন৷ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, “শতভাগ ভোট কোথাও হয় না। এভারেজ যেটা হয় ৭৫ শতাংশ। বাংলাদেশে প্লাস মাইনাস, গিভেন টেক দুটি রাজনৈতিক দলই আছে। সংখ্যার পারসেন্টেজ বাংলাদেশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।”
এম সাখাওয়াত হোসেন আরো বলেন, “বাংলাদেশের এমন কোন অবস্থা দেখিনি যে, এই বড় দুই দলের একটি নির্বাচনে নেই, আর ৭০ ভাগ জনগণ ভোট দিয়ে গেছেন। নির্বাচন কমিশনকে কেন মানুষ অবিশ্বাস করে? ক্রেডিবিলিটির প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে সেটি, সংখ্যার পারসেন্টেজে সেটা হবে না।”
‘ডয়চে ভেলে খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়’ টকশোয়ের একটি দৃশ্য