বিএনপি এই মুহূর্তে হরতালে রাজি নয়, আসছে ঘেরাও-অবস্থানসহ শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি

200

সরকারের পতনের এক দফা আন্দোলনে সমমনারা হরতাল চাইলেও বিএনপি এই মুহূর্তে এতে রাজি নয়। তবে সভা, মিছিল-পদযাত্রা, ঘেরাও-অবস্থান সহ শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি আসছে।

সরকারের পতনের এক দফা আন্দোলনের পরবর্তী ধাপের কর্মসূচি নিয়ে বিএনপির সঙ্গে আলোচনা চলছে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা ৩৭ রাজনৈতিক দলের। এই দলগুলোর সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে এবার যুক্ত হচ্ছে জামায়াত ইসলামী ও ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনসহ বেশ কয়েকটি ইসলামী দল।

হেফাজত ইসলাম এরই মধ্যে তাদের নেতাদের মুক্তি এবং কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণার দাবি নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। হেফাজতের নেতারা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, তাদের দাবি না মানা হলে তারা এদেশে কোনো নির্বাচন হতে দেবেন না।

বিএনপি মনে করছে, সুষ্ঠু অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সরকারের উপরে বিদেশী চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। যা সরকারের মধ্যে এক ধরনের অস্থিরতা তৈরি করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। আর এই সুযোগকে কাজে লাগাতে চায় বিএনপিসহ শরীকদলগুলো।

আন্দোলনের কৌশল নিয়ে সমমনা দলগুলোর সাথে দফায় দফায় বৈঠক হচ্ছে বিএনপির। দলীয় সূত্র জানায়, ঢাকার পাশাপাশি জেলা, উপজেলা, বিভাগ ও মহানগরের সাংবিধানিক ও প্রশাসনিক প্রতিষ্ঠানগুলো ঘেরাও করে অবস্থান করার কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা চলছে।

বিএনপির সিনিয়র এক নেতা জানান, রাজধানীতে গণভবন, সংসদ ভবন, দুদক, নির্বাচন কমিশন, বিচার বিভাগ ঘেরাও বা অবস্থানসহ আরো কিছু ভিন্নধর্মী শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি নিয়ে সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা হচ্ছে। জেলা পর্যায়ে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান, নির্বাচন কমিশন ঘেরাও, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও বা অবস্থান নিয়েও কথা হচ্ছে। [৭] বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, কর্মসূচি প্রণয়ন নিয়ে সমমনা দলগুলোর সঙ্গে ভেতরে বাইরে আলোচনা চলছে। প্রতিটি দল তাদের মতামত জানাচ্ছে। সকলের মতামতগুলো সমন্বয় করে অচিরেই নতুন ধাপে সরকার পতনের এক দফার শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

এলডিপির চেয়ারম্যান কর্ণেল অলি আহমেদ বীর বিক্রম মনে করেন, দিন যত যাচ্ছে এবং নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই সরকার অসহায় অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। তাই কর্মসূচি নিয়ে আমাদেরকে নতুন কৌশল নিতে হবে। বিএনপি ছাড়া অন্য রাজনৈতিক দলগেুলোর মধ্যে যাদের মোটামুটি লোকবল আছে তাদেরকে আরো সামনে নিয়ে আসতে হবে।

নাগারিক মঞ্চের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না কর্মসূচির বিষয়ে বলেন, যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলো চাচ্ছে হরতালের মত কর্মসূচি। কিন্তু বিএনপি এই কর্মসূচিতে রাজি নয়। আন্দোলনের কর্মসূচিতে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। আলোচনা চলছে ঘেরাও, অবস্থানের মত শান্তিপূর্ণ কিছু কর্মসুচি নিয়ে।

তিনি বলেন, সব রাজনৈতিক দল এক মঞ্চে আসবে না। কারণ প্রতিটি দলের ভিন্ন ভিন্ন মতাদর্শ রয়েছে। কিন্তু আমরা যদি যুগপৎ আন্দোলন করি সেখানে কিন্তু কারো সমস্যা হচ্ছে না। জামায়াত বা অন্য কোনো রাজনৈতিক দল যার যার অবস্থান থেকে একই দিনে একই কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামে- সেখানে কিন্তু কারোর কোনো সমস্যা হচ্ছে না।

পূর্বের খবরউত্তরায় দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে শিক্ষার্থীর মৃত্যু
পরবর্তি খবরকক্সবাজারে ১৮ হাজার কোটি টাকার রেললাইন প্রকল্প পানিতে ডুবলো কেন?