সোমবার (২৩ অক্টোবর) সংসদে উত্থাপিত এই বিল অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “গতকাল (২৩ অক্টোবর)) সংসদে একটি বিল উত্থাপন করা হয়েছে। এটি কেবল গুরুতর উদ্বেগের কারণ নয়, আতঙ্কের বিষয়। এভাবেই তারা (সরকার) সমগ্র রাষ্ট্রব্যবস্থা ও প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করছে।”
তিনি বলেন, “সারা বিশ্বে পুলিশই একমাত্র সংস্থা, যার অপরাধীদের গ্রেপ্তার করার ক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু আনসারদের; যাদের মৌলিক প্রশিক্ষণ নেই; তাদের এখানে (বাংলাদেশে) সেই ক্ষমতা দেয়া হবে।” তিনি বলেন, “পুলিশিং একটি ভিন্ন বিষয় এবং বাহিনীটি বিভিন্ন আইন, বিধি এবং ভিন্ন আচরণবিধির অধীনে পরিচালিত হয়। আর, আনসার বাহিনীর ভূমিকা ও কার্যক্রম ভিন্ন এবং এটি একটি ভিন্ন প্রতিষ্ঠান দ্বারা পরিচালিত হয়।”
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন যে সরকার আনসার ব্যাটালিয়ন বিল-২০২৩ এনেছে, এই বাহিনীকে রাজনীতিকরণের অংশ হিসেবে। তিনি বলেন, “আমরা এর নিন্দা জানাই এবং একই সঙ্গে বিলটি প্রত্যাহারের দাবি জানাই। আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি যে এই বিলটি কোন ভাবে যেন পাস করা না হয়।”
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ পুলিশের মতোই, অপরাধীদের আটক, দেহ তল্লাশি ও মালামাল জব্দের ক্ষমতা আনসার ব্যাটালিয়নকে দিয়ে একটি খসড়া আইন জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে। কিছু বিরোধী দলীয় সদস্য বিলের বিরোধিতা করে বলেছেন যে এই আইন, বাংলাদেশ পুলিশের সমান্তরাল বাহিনী হিসাবে, আনসার বাহিনী-কে প্রতিষ্ঠা করতে পারে।