ইন্ডিয়া টুডের প্রকাশিত প্রতিবেদনে বিশ্লেষণ করা হয়েছে, ভারত ও চীন যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সমর্থন করে এক শিবিরে রয়েছে, তখন যুক্তরাষ্ট্রকে খালেদা জিয়ার পাশে দাঁড়াতে দেখা গেছে।
গত ৬ ডিসেম্বর এক প্রেস ব্রিফিংয়ে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবিকে প্রশ্ন করা হয়, বাংলাদেশের বর্তমান সরকারকে সমর্থন করতে ভারত, চীন ও রাশিয়া যেহেতু ‘একই পাশে’ রয়েছে, তাই বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান কী?
জবাবে জন কিরবি বলেন, আমরা বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে বিশ্বাস করি এবং আমরা তা অব্যাহত রাখবো। আমরা বিদেশি নির্বাচনে কোনো পক্ষ নিই না এবং বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও তা বদলাবে না। আমরা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করি। বাংলাদেশের মানুষের সেই মৌলিক আকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন করার জন্য আমরা যা যা করতে পারি, তা অব্যাহত রাখবো।
ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জানুয়ারির নির্বাচনকে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য একটি বড় পরীক্ষা হিসেবে দেখা হচ্ছে। নির্বাচনের ফলাফল ভারতের জন্য ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে। ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়েই স্থিতিশীল বাংলাদেশকে সমর্থন করার কথা বললেও বিশ্বের বৃহত্তম দুই গণতান্ত্রিক দেশ বিপরীত শিবিরে রয়েছে বলে মনে হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার আওয়ামী লীগকে নয়াদিল্লি সমর্থন করছে বলে মনে করা হচ্ছে। আর ওয়াশিংটন ঘোষণা করেছে, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে দুর্বল করে এমন কাউকে ভিসা নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হতে হবে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, একদিকে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্কের টানাপোড়েন বাড়ছে। ওয়াশিংটন ভিসা নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি দিয়ে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ঢাকার ওপর চাপ প্রয়োগের চেষ্টা করছে, তখন ভারত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ও জামায়াত সরকারের প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে নিয়ে উদ্বিগ্ন। সবার চোখ এখন ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের নির্বাচনের দিকে।