অনলাইন ডেস্ক: বহুল প্রত্যাশিত চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত দেশের প্রথম যোগাযোগ পথ টানেলের ফলক উন্মোচন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে নদীর তলদেশে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম সড়ক টানেলের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী।
আজ শনিবার বেলা ১১টা ৪১ মিনিটে নগরের পতেঙ্গা প্রান্তে সুইচ টিপে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের ফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী। টানেলের প্রবেশমুখের ডান পাশে এই নামফলক স্থাপন করা হয়। একই ধরনের নামফলক স্থাপন করা হয়েছে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার টানেলের টোল প্লাজা এলাকায়।
অবশেষে অপেক্ষার প্রহর শেষ হলো। দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গে সুড়ঙ্গ দিয়ে খুলল আরেক দুয়ার। নাম তার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল। এর মধ্য দিয়ে দেশের যোগাযোগব্যবস্থা নবদিগন্ত উন্মোচিত হলো।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে পতেঙ্গায় কর্ণফুলী নদীর পশ্চিম তীরে একটি ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী ফলক উন্মোচনের পর পরই আতশবাজি ফোটানো হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন।
এরপর গাড়িতে চড়ে টানেল ধরে রওনা হন আনোয়ারা প্রান্তে। সেখানে নদীর তীরে আরেকটি ফলক উন্মোচন করেন। এরপর কোরিয়ান ইপিজেড মাঠে আওয়ামী লীগের জনসভায় ভাষণ দেবেন।
এ টানেলের মাধ্যমে শিল্পঘেরা কর্ণফুলীর দুই পাড়ের মধ্যে যোগাযোগ সহজ হচ্ছে, সংযোগ হচ্ছে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের। তাতে গতি পাবে দেশের রপ্তানি বাণিজ্য।
কর্ণফুলী নদীর একপাড়ে বন্দর নগরী, অন্যপাড়ে আনোয়ারা উপজেলার শিল্প এলাকা। ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’ গড়ার উচ্চাভিলাসী লক্ষ্য নিয়ে বানানো এই টানেলের মাধ্যমে এই দুই পাড় যুক্ত হচ্ছে। পথ খুলছে বিশ্বমানের যোগাযোগের।
টোল দিয়ে বঙ্গবন্ধু টানেল ঘুরে দেখলেন প্রধানমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধু টানেলে প্রধানমন্ত্রী
শনিবার (২৮ অক্টোবর) এই টানেল উদ্বোধন করেন। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ টানেল যুগে প্রবেশ করল। এ সময় গাড়ি বহর নিয়ে পুরো টানেল ঘুরে দেখেন।
ছবি: ফোকাস বাংলা
দুয়ার খুলল বঙ্গবন্ধু টানেলের