এদিকে রাজধানীর বিভিন্ন স্কুলে বই বিতরণের নোটিশ জারি করা হয়েছে। শিফট অনুযায়ী সকাল-বিকালে প্রথম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে নতুন পাঠ্যবই। তবে রাজধানীর মিরপুর মনিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের নোটিশে লেখা আছেÑ নবম শ্রেণির নতুন পাঠ্যবই প্রাপ্তি সাপেক্ষে বিতরণ করা হবে।
এনসিটিবির বিতরণ শাখার তথ্যানুযায়ী, প্রাথমিকের সব শ্রেণির বই ছাপা শেষ। ষষ্ঠ-সপ্তমের বইও প্রায় ৯৭ শতাংশ ছাপা শেষ। কিছু উপজেলায় ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির দুটি বই প্রথম দিনে নাও দেওয়া হতে পারে। তবে অধিকাংশ উপজেলায় এ দুই শ্রেণির শতভাগ বই ১ জানুয়ারিই পাবে শিক্ষার্থীরা। অষ্টম ও নবম শ্রেণির বই পৌঁছায়নি জেলা ও উপজেলায়।
অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে এবারই প্রথম নতুন শিক্ষাক্রমে পড়ানো হবে। এ দুই শ্রেণিতে ১০টি বিষয়ে ১১টি বই। অষ্টম শ্রেণিতে সারাদেশে শিক্ষার্থী রয়েছে সাড়ে ৪৮ লাখের কিছু বেশি। তাদের জন্য ছাপানো হচ্ছে পাঁচ কোটি ৩৪ লাখ ৮৪ হাজার বই। আর নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ৪৬ লাখের বেশি। এ শ্রেণিতে বইয়ের সংখ্যা পাঁচ কোটি ছয় লাখ ৮৪ হাজার ৫৭৩ কপি।
এনসিটিবি চেয়ারম্যান মো. ফরহাদুল ইসলাম আমাদের সময়কে বলেন, নির্বাচন কমিশন ১ জানুয়ারি বই উৎসব করার অনুমতি দিলেও তাতে রাজনৈতিক ব্যক্তিরা থাকতে পারবেন না বলে জানিয়েছে। এ জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে যে অনুষ্ঠান করার কথা ছিল তা হবে না। তবে ডিসি, ইউএনও, জেলা ও উপজেলা শিক্ষা এবং প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের নিয়ে অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়া হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বই বিতরণ উৎসব আয়োজন যাতে ফিকে না হয় সেদিকে খেয়াল রেখে নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তারা বলছেন, কেন্দ্রীয়ভাবে উৎসব না হলেও সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যাতে উৎসবমুখর থাকে সে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে বিভাগ, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন দৃষ্টি রাখবে।