টঙ্গী প্রতিনিধিঃ গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে শুরুর দিন অনুষ্ঠিত জুমার জামাতেও অংশ নিয়েছেন লাখো মানুষ।
শুক্রবার বেলা ১টায় ময়দানে জুমার আযান হয়। ১টা ৪৫ মিনিটে খুতবা শুরু হয়। নামাজে ইমামতি করেন মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বড় ছেলে ইউসুফ বিন সাদ কান্ধলভী। এরপর জুমার জামাত শুরু হলে শেষ হয় ১টা ৫৮ মিনিটে।
বৃহত্তম এ জুমার নামাজে তাবলিগ জামাতের অনুসারী ছাড়াও ঢাকা, টঙ্গী, গাজীপুর, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জসহ আশেপাশের জেলা থেকে আসা মানুষরা অংশ নিয়েছেন। জুমায় জামাতে অংশ নিতে তারা ভোর থেকেই ইজতেমার স্থলে জমায়েত হয়েছিলেন। আশপাশের বাসা বাড়ি, বহুতল ভবন, সড়কের অলিগলিতে অবস্থান নিয়ে জুমার নামাজ আদায় করেন তারা।
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যানবাহন চলাচল সাময়িক বন্ধ হয়ে যায়। কালীগঞ্জ থেকে আসা মুসল্লি আবুল হোসেন জানান, বড় জামাতে নামাজ আদায় করা অনেক ফজিলত।
পুবাইল এলাকার বাসিন্দা হাদিউল ইসলাম তিনি এসেছেন জুমার নামাজে অংশ নিতে। তিনি বলেন, আমার কাছে কোনো ভেদাভেদ নাই, প্রথম পর্ব দ্বিতীয় পর্ব নাই। ইজতেমায় বড় জুমার জামাত হয় এজন্য এসেছি।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের কমিশনার মাহবুব আলম জানান, ইজতেমা যাতে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়, সে জন্য বরাবরের মতো এবারও কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থাগ্রহণ করেছি। সমস্ত মাঠ নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। প্রত্যাশা করছি, প্রথমপর্বের মতো দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমাও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে।
ইজতেমা মাঠে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। জিএমপি কমিশনার বলেন, দ্বিতীয় পর্বে ছয় হাজারের অধিক বিদেশি অতিথি আছে। তাদের জন্যও নিরাপত্তা ব্যবস্থাগ্রহণ করেছি। জুমার নামাজ আদায় করতে আশপাশের জেলার অনেক মুসল্লিরা এখানে এসেছেন। জুমার নামাজ উপলক্ষে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যানজটমুক্তভাবে চলাচলের জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক ট্রাফিক পুলিশ রাখা হয়েছে। জুমার নামাজে অংশ নেওয়া মানুষ যাতে নিবিঘ্নে আসা যাওয়া করতে পারে।
তিনি বলেন, আগামী রবিবার মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। অংশ নেওয়া মুসল্লি ছাড়াও অসংখ্য মুসল্লি আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে এখানে আসেন। সেটির জন্য ট্রাফিক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। শনিবার মধ্যরাত হতে টঙ্গী ব্রিজ, কামারপাড়া ব্রিজ, ভোগড়া বাইপাস, মীরেরবাজার এলাকায় ব্যারিকেড দিয়ে ইজতেমা সংলগ্ন এলাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হবে।
ইজতেমা শেষে যাওয়ার সময় একই ব্যবস্থাপনা অব্যাহত থাকবে। আমরা নাগরিকদের কাছে আশা করব তারা যেন সুশৃঙ্খল পরিবেশ বজায় রাখার জন্য। রাস্তায় যে ট্রাফিক পুলিশ কাজ করবে তাদের সহযোগিতা করবে।