বইমেলায় ফেরদৌস হাসান রানার উপন্যাস “ডাক দিয়ে যায়” আসছে আজ

165

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ এবারের অমর একুশের বইমেলা ২০২৪ আজ শুক্রবার ৯ ফেব্রুয়ারি বিকেল থেকে “ডাক দিয়ে যায়” বইটি পাওয়া যাবে জিনিয়াস পাবলিকেশনে প্রচ্ছদ একেছেন ধ্রব এষ। দেশের আলোচিত ঔপন্যাসিক ফেরদৌস হাসান রানার মুক্তিযুদ্ধের উপন্যাস “ডাক দিয়ে যায়” প্রকাশক মোঃ হাবিবুর রহমানের জিনিয়াস পাবলিকেশনস্ থেকে প্রকাশিত হচ্ছে।

May be a graphic of 1 person and text

 

ফেরদৌস হাসান রানা যিনি একাধারে একজন কবি,নাট্যকার,গীতিকার,ঔপন্যাসিক,চলচ্চিত্রকার। তার পরিচালিত প্রায় হাজারের ওপর নাটক বিভিন্ন টেলিভিশনে প্রচারিত হয়েছে, তার লেখা গল্প ও চিত্রনাট্যে শতাধিক চলচ্চিত্র নির্মাণ হয়েছে বিভিন্ন সময়ে নানা পরিচালকের মাধমে। ফেরদৌস হাসান যার পুরো নাম আকতার ফেরদৌস রানা সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত একজন কর্মকর্তা। বর্তমান দেশের মিডিয়া অঙ্গনে ফেরদৌস হাসান এক আলোচিত নাম। প্রতিবারের মতো তার রচিত উপন্যাস “ডাক দিয়ে যায়” এবারের বই মেলায়ও সর্বাধিক বিক্রিত বই হিসেবে সাড়া ফেলবে এবং পাঠকের প্রশংসা কুড়াবে বলে আশা করছি।

May be an image of 1 person, smiling and lake

ফেরদৌস হাসান তার রচিত উপন্যাস সম্পর্কে প্রতিক্রিয়ায় যা বলেছেন, “অলৌকিক বাতাসের গান” উপন্যাসটি লিখতে আমার ৪০ বছর লেগেছিল। আর “ডাক দিয়ে যায়” লিখতে লাগলো ৫৩ বছর। এই উপন্যাসটি লেখার সাহস করতে লেগে গেলো যুগযুগ। তা-ও মনে হচ্ছে পারিনি। তবে আপনি যদি সংগ্রহ করে পড়েন তাহলে মনে করবো পেরেছি। স্টেনগান হতে এই ছবিটি আমার,এই উপন্যাসের সেই দুরন্ত কিশোর। আর নিচের ছবিটিও আমার। কী যেন খুঁজছি! এ-তো বছর পর কী সে-ই আমাকে?

May be an image of 1 person

ফেরদৌস হাসান বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক জগতে একটি পরিচিত নাম। তাঁর বহু পরিচয় তিনি একদিকে নাট্যকার,গীতিকবি,ঔপন্যাসিক, হাজারের ওপর নাটক-সিনেমার পরিচালক। তাঁর উপন্যাসে উঠে আসে সাধারন মানুষের জীবন। “ডাক দিয়ে যায়” এই উপন্যোসের সব চেয়ে উল্লেখযোগ্য হল এর ভাষা। এমন মেদহীন, পরিমিত এবং সংযত এই ভাষা যে ব্যবহৃত শব্দগুলি হয়ে উঠেছে শানিত ও লক্ষভেদী। তার লেখা পড়লে খুব সহজ মনে হয়,কিন্ত লিখতে গেলে বোঝা যাবে কত কঠিন। যিনি অবলীলায় এমন ভাষায় লিখে যান তিনি ভাষার যাদুকর। ফেরদৌস হাসানকে অভিনন্দন।”

“ডাক দিয়ে যায়” বইটির প্রকাশক হাবিবুর রহমানের জিনিয়াস পাবলিকেশন প্রকাশ করেছে।
কপি সংগ্রহ করতে চাইলে অমর একুশের বই মেলা, জিনিয়াস পাবলিকেশন, প্যাভিলিয়ন নং ৩। (টিএসসির দিক দিয়ে প্রবেশের পথে।),সরোওয়ার্দি উদ্যান।

নাট্য পরিচালক সাইফুর রহমান সুজন ফেরদৌস হাসান সম্পর্কে তার ফেসবুক ওয়ালে লিখেছেন,

”ডাক দিয়ে যায়”
ফেরদৌস হাসান
আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের উপর অসংখ্য বই রচিত হয়েছে। তারমধ্য থেকে বেশ কয়েকটি পড়েছি। “একাত্তরের দিনগুলো” ও “আগুনের পরশমণি” ছাড়া কোনটাই নজর কাড়তে পারেনি। হয়ত আছে যেগুলো আমার পড়া হয়নি!
বিগত দু’বছর যাবৎ স্যারের মুখ থেকে মুক্তিযুদ্ধের অসংখ্য গল্প শুনেছি। গল্প নয়, যুদ্ধকালীন বাস্তব ঘটনাবলী। প্রত্যাশা ছিল স্যারের লেখা একটি বই। মুক্তিযুদ্ধের উপর। তিনি সেই প্রত্যাশা পূরণ করেছেন।
ভাগ্যক্রমে তাঁর লেখা প্রথমেই আমি পড়তে পারি। স্যার পাঁচ পৃষ্ঠা লিখে আমাকে পড়তে দিলেন। পড়া শেষ করলাম। শুরুতেই লেখকের ফিলিস্তিনিদের পক্ষে যুদ্ধে যাবার স্বপ্ন। চোখের সামনে ফিলিস্তিনিদের কষ্ট দেখতে পেলাম। বাবাদের হতাশা। মায়েদের আহাজারি। শিশুদের কান্না। আমার চোখ থেকে টপটপ করে অশ্রু ঝরেছিল।
লেখক ফিলিস্তিন থেকে সরাসরি একাত্তরে নিয়ে গেলেন। চোখের সামনে ভেসে উঠলো রাজশাহী থেকে যশোর। যশোর থেকে প্রাগপুর। ভারত। কখনো মন ভারি হয়ে আসে। কখনো আনন্দে বুকফাটা হাসি পায়।
এর আগে কোন লেখক মুক্তিযুদ্ধের এতো সুনিপুণ বর্ননা করেছে কি-না আমার জানা নাই! আমার ধারণা “ডাক দিয়ে যায়” উপন্যাসটি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম বই হতে যাচ্ছে। শব্দচয়ন, বাক্যগঠন, যোদ্ধাদের ট্রেনিং, কৌশল, দেশপ্রেম, বিহারি ও রাজাকারের ভূমিকা অসাধারণভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
বইটি প্রকাশ করেছে – জিনিয়াস পাবলিকেশন, প্রকাশক – মোঃ হাবিবুর রহমান,রচনা – ফেরদৌস হাসান।
আগামী শুক্রবার থেকে অমর একুশে বইমেলায় জিনিয়াস পাবলিকেশনের স্টলে পাওয়া যাবে।

সাংবাদিক শরিফুল ইসলাম খান ফেরদৌস হাসান সম্পর্কে জানান, ফেরদৌস হাসান ‘রানা’ ভাই আমার অনেক অনেক পছন্দের একটা মানুষ কিন্তু সে আমাকে পছন্দ করে কিনা সেটা জানা নাই তবুও আমি তাকে অনেক ভালোবাসি। তার গল্প বলার সৌন্দর্য ও শক্তিশালী লেখনি আমাকে সব সময় কাছে টানে। তার নির্মিত নাটক আমাকে আবিভূত করে।

তার গল্পে সব সিনেমা আমাকে মুগ্ধ করে। রানা ভাইকে আমি চিনি সেই ১৯৯৪ সাল থেকে, তৎকালীন সাপ্তাহিক বিচিত্রায় প্রকাশিত তার লেখা তার লেখা একটি উপন্যাস পড়ে এতটাই আবিভূত হয়েছিলাম যে সেই গল্পটা নিয়ে সিনেমা বানাবার দুরন্ত আগ্রহ জম্ম নেয়। পরবর্তীকালে রানা ভাইয়ের সেই গল্পে সিনেমা তৈরির সম্মতিও মিলেছে কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, সিনেমাটা এখনো বানানো হয়নি, তবে আশা করছি খুব শিগ্রই সিনেমার কাজ শুরু করতে পারবো। তার প্রস্তুতিও প্রায় চূড়ান্ত, এখন ঘোষণার অপেক্ষায়।
বইমেলায় “রানা” ভাইয়ের বই আসবে আর সেখানে আমার উপস্থিতি থাকবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আগামীকাল শুক্রবার বিকেল তিনটায় মেলা প্রাঙ্গণে রানা ভাইয়ের উপন্যাস “ডাক দিয়ে যায়”” এর মোড়ক উন্মোচন হবে। এই আয়োজনে সবাইকে উপস্থিত থাকার জন্য স্ব-বান্ধব আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।
পূর্বের খবরদেশে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের সেনা ও সীমান্তরক্ষীরা কবে ফেরত যাবে?
পরবর্তি খবরসাফের যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ হলেও ট্রফি যাচ্ছে ভারতে