দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নতুন মন্ত্রিসভার মোট ৩৬ সদস্যদের নাম ঘোষণা করেছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। সদ্য ঘোষিত এই মন্ত্রীদের তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের নামও।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) রাতে পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী হিসেবে ২৫ জন ও প্রতিমন্ত্রী হিসেবে ১১ জনের নাম ঘোষণা করে তাদেরকে শপথের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার নতুন এই মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা শপথ নেবেন।
যদিও মন্ত্রিত্বের সঙ্গে বোর্ড সভাপতি থাকার বিষয়টি সাংঘর্ষিক নয় তবুও ৩৬ সদস্যদের মধ্যে পাপনের নাম ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই বিসিবি সভাপতি পদে কে আসতে পরে বা তিনিই থাকতে পারবেন কিনা তা নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
ক্রিকেট বোর্ড ও ক্রীড়া আইনে মন্ত্রিত্ব পেলে কোনো ফেডারেশনের সভাপতিত্ব করা যাবে না- এমন কোনো নিয়ম নেই। ক্রিকেট বোর্ডে তিনি চার বছরের জন্য সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিসিবি সভাপতি পদে মেয়াদ রয়েছে তার। ২০১৩ সাল থেকে ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি হিসেবে আছেন পাপন।
এর আগে ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি সরকার কর্তৃক মনোনীত ছিল। অধিকাংশ ক্ষেত্রে সরকারের অনেক মন্ত্রী দায়িত্ব পালন করেছেন। ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক সভাপতির তালিকায় থাকা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, আবু সালেহ মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান ও সাবের হোসেন চৌধুরী মন্ত্রিত্ব এবং বোর্ড সভাপতি উভয় পদেই একসঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন।
আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ১৯৮৭-৯০ সাল পর্যন্ত বিসিবির সভাপতি ছিলেন। ওই সময় তিনি দায়িত্বে ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের। বোর্ড সভাপতি ও পররাষ্ট্র মন্ত্রী উভয় পদে আনিস মাহমুদের উত্তরসূরি আবু সালেহ মোহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান। ১৯৯৬-২০০১ সাল পর্যন্ত বিসিবির সভাপতি ছিলেন সাবের হোসেন চৌধুরী। বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব পালনকালে তিনি নৌ-পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী ছিলেন।
নব্বইয়ের দশকে বিসিবি সভাপতিদের মধ্যে কয়েকজন মন্ত্রিত্ব পেয়েছেন। ২০০১ সাল পরবর্তী সময়ে কোনো মন্ত্রী বিসিবির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেননি। আ হ ম মোস্তফা কামাল বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব ছাড়ার পর মন্ত্রিত্ব পেয়েছেন।
বর্তমানে ক্রিকেটে জনসম্পৃক্ততা এবং আন্তর্জাতিক ব্যাপ্তি অনেক বেশি। তাই মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি ক্রিকেট বোর্ড সামলানোটা বড় চ্যালেঞ্জ হবে পাপনের জন্য। পাপন দায়িত্ব না ছাড়লে বিসিবি সভাপতি হিসেবেও বহাল থাকতে পারবেন তিনি। বিসিবির নিজস্ব নিয়মের মধ্যেই যেকাউকে সভাপতি নির্বাচিত হয়ে আসতে হবে। মন্ত্রিত্বের সঙ্গে বোর্ড সভাপতি থাকার কোনো বিরোধিতা নেই।