আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচনে ২৬৫ আসনের মধ্যে এখন পর্যন্ত ২৪১ আসনের বেসরকারি ফল জানা গেছে। প্রাপ্ত ফলে দেখা যাচ্ছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এগিয়ে রয়েছেন।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিওটিভির লাইভ আপডেট থেকে জানা গেছে, এ পর্যন্ত প্রাপ্ত ২৪১ আসনের মধ্যে পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছেন ৯৮টি আসন।অন্যদিকে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) পেয়েছে ৬৭টি আসন, আর সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর ছেলে বিলাওয়াল ভুট্টো-জারদারির দল পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) পেয়েছে ৫২টি আসন।
মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট-পাকিস্তান (এমকিউএম-পি) পেয়েছে ১৫ আসন। ইসতেহখাম-ই-পাকিস্তান পার্টি (আইপিপি) পেয়েছে দুটি আসন। পাকিস্তান মুসলিম লীগ (পিএমএল) পেয়েছে তিনটি আসন। একটি আসন পেয়েছে ধর্মভিত্তিক আরেক দল জমিয়তে-উলামায়ে-ইসলাম (জেইউই-এফ)। অন্যান্য দল বাকি একটি আসন পেয়েছে।
পাকিস্তানে বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনের ফলাফল একদিন পরও পুরোপুরি প্রকাশ করতে পারেনি দেশটির নির্বাচন কমিশন। এখন পর্যন্ত প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যাচ্ছে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বেশি আসনে জয় পেয়েছেন। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আল জাজিরার খবর অনুযায়ী, জাতীয় পরিষদের ২৬৬টি আসনের মধ্যে ২৩৭টি আসনের ফলাফল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।
পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্ররা কী করবেন
বিশ্লেষকরা বলছেন, তাত্ত্বিকভাবে সংসদ সদস্যরা দলমত নির্বিশেষে সরকার গঠন করতে সক্ষম। পিটিআই যেহেতু দলীয়ভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে পারেনি, সেক্ষেত্রে দলটির সমর্থিত প্রার্থীরা অন্য কোনো দলে যোগদান না করেও নিজেরা সংসদীয় স্বাধীনতা বজায় রাখার পথ বেছে নিতে পারেন।
স্বতন্ত্র থাকার আরেকটি অসুবিধা হলো ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে সংরক্ষিত আসনের যে কোটা রয়েছে তা থেকে বঞ্চিত হবেন। ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে নারী ও সংখ্যালঘু মিলিয়ে ৭০টি সংরক্ষিত আসন রয়েছে। এর মধ্যে ৬০টি আসন নারীদের জন্য এবং ১০টি সংখ্যালঘুদের জন্য বরাদ্দ। যে দল সরকার গঠন করবে তাদের প্রাপ্ত আসনের অনুপাতে এগুলো বণ্টন করা হয়।
পিটিআই দল হিসেবে নির্বাচনের সুযোগ না পাওয়ায় দলটির সমর্থিত প্রার্থীরা সবচেয়ে বেশি আসন পেলেও সংরক্ষিত আসনের এই কোটার সুবিধা পাবে না। এ অবস্থায় পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্ররা কী সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন, তার জন্য আরও ৭২ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে বলছেন সংশ্লিষ্টরা।