ইসলাম ডেস্কঃ আমরা নামাজে দাঁড়িয়ে অনেক সময় কোরআনের আয়াত ভুলে যাই। নামাজের সময় বিষয়টি নিয়ে অনেকেই বিভ্রান্ত হই- কি করা যায় তা নিয়ে।আলেম-ওলামারা বলেন, কোনো ব্যক্তি নামাজের তেলাওয়াতে কোনো অংশ ভুলে গেলে সেটি যদি সুরা ফাতিহায় হয়, তাহলে অবশ্যই শুধরে নিতে হবে। অর্থাৎ আবার পড়তে হবে। কেননা, সুরা ফাতিহা ছাড়া নামাজ হয় না।
সুতরাং কেউ যদি সুরা ফাতিহার কোনো অংশ ভুলে যায় কিংবা এমন কোনো ভুল করে যা অর্থকে পরিবর্তন করে দেয়; তাহলে ভুলটি সংশোধন করা ছাড়া তার নামাজ সুদ্ধ হবে না।
যদি ভুলটি ফাতিহা ছাড়া অন্য কোনো সুরায় হয়, তাহলে নামাজ সহি হতে পারে। কারণ, সুরা ফাতিহার পর অন্য সুরা পড়া পড়া সুন্নত; ওয়াজিব নয়।
স্থায়ী কমিটির আলেমগণ বলেন, যদি মুসল্লিরা কোনো একটি আয়াত পড়তে গিয়ে ভুলে যান, বিভ্রান্ত হন বা স্মরণ করতে না পারেন; তাহলে পরের আয়াতটি পড়তে কোনো বাধা নেই। কিন্তু তার জন্য শরিয়তের বিধান হলো- যে অংশটি তার ভালো মুখস্থ আছে নামাজে কেবল সে অংশ থেকে পড়া। যাতে করে তিনি কোনো সংশয়ে না পড়েন। [ফাতাওয়াল লাজনাদ দায়িমা (৫/৩৩৭)]
শাইখ বিন বাযকে (রহ.) জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, যদি ইমাম নামাযে যতটুকু সম্ভব কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন এরপর কোনো আয়াত ভুলে যাওয়ায় পুরোপুরি শেষ করতে না পারেন এমনকি মুসল্লিদের মধ্যে কেউ তাকে লোকমা দিতে না পারেন- তখন কি তাকবীর দেবেন নাকি রাকাত শেষ করবেন বা অন্য কোনো সুরা পড়বেন?
জবাবে শাইখ বিন বায বলেন, এ ক্ষেত্রে ইমামের এখতিয়ার থাকবে। তিনি চাইলে তাকবীর দিয়ে তেলাওয়াত সমাপ্ত করতে পারেন, কিংবা যেই নামাজ পড়ছেন সেই নামাজে ক্বিরাতের যে সুন্নাহ রয়েছে তার আলোকে অন্য কোনো সুরার এক আয়াত বা একাধিক আয়াত পড়তে পারেন— যদি ভুলে যাওয়াটা সুরা ফাতিহা ছাড়া অন্য সুরার ক্ষেত্রে হয়।
আর সুরা ফাতিহার ক্ষেত্রে হলে তাহলে গোটা সুরা ফাতিহা অবশ্যই পড়তে হবে। কেননা সূরা ফাতিহা পড়া নামাযের রুকন। [মাজমুউ ফাতাওয়া বিন বায (১২/১২৯)]
শাইখ বিন উছাইমীনকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, একাকী নামাজ আদায়কালে যদি কোনো আয়াত পাঠে ভুল করে, আয়াতটি শেষ করতে না পারে এবং অন্য আয়াতের সাথে তালগোল লেগে যায়; সেক্ষেত্রে নামাযের মধ্যে কি করা উচিত?
জবাবে তিনি বলেন, দুটি বিষয়ের কোনো একটি করা যাবে। নামাজ আদায়কারী পরের আয়াতে চলে যেতে পারবেন বা রুকুতে চলে যেতে পারেন। কেননা বিষয়টি প্রশস্ত। ফাতাওয়া নুরুন আলাদ দারব (২৪/১৪১)]
সূত্র: ইসলামি জিজ্ঞাসা ও জবাব: শাইখ সালিহ আল মুনাজ্জিদ