আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হাতে আটক জিম্মিদের মুক্ত করার নতুন আলোচনা করতে মিসরে গেছে ইসরায়েলের একটি প্রতিনিধি দল।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) এ তথ্য জানিয়েছেন মিসরের এক কর্মকর্তা। হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে মধ্যস্থকারীর ভূমিকা পালন করছে কাতার, যুক্তরাষ্ট্র এবং মিসর।
মিসরের এ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কাতার এবং মিসর— ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে যুদ্ধবিরতির চেষ্টা চালাচ্ছে।
ধারণা করা হয়, গত ৭ অক্টোবর যেসব ইসরায়েলিকে হামাসের যোদ্ধারা গাজায় ধরে নিয়ে গিয়েছিলেন তাদের মধ্যে এখনো ১৩২ জন জিম্মি হয়ে আছেন। তবে তাদের মধ্যে সবাই জীবিত নেই।
নভেম্বরের শেষদিকে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে এক সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি চলেছিল। ওই বিরতির সময় ১০৫ জিম্মিকে মুক্তি দেয় হামাস। যার মধ্যে ইসরায়েলি ছাড়া অন্যান্য দেশের নাগরিকরাও ছিলেন।
যুদ্ধবিরতির আগে চার জিম্মিকে মুক্তি দেয় হামাস। একজনকে মুক্ত করেন ইসরায়েলি সেনারা।
এছাড়া উদ্ধার করা হয় আট জিম্মির মরদেহ। আর ভুলক্রমে তিন জিম্মিকে গুলি করে হত্যা করেন ইসরায়েলি সেনারা।
হামাসের হাতে যেসব জিম্মি রয়েছেন তাদের মধ্যে ২৫ জন নিহত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরায়েল।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্য সফরে রয়েছেন। কাল বৃহস্পতিবার তার মিসরে যাওয়ার কথা রয়েছে।
হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে নতুন করে জিম্মি আলোচনা শুরু হয়েছিল। তবে গত সপ্তাহে লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় হামাসের উপপ্রধান সালেহ আল-অরৌরি নিহত হলে জিম্মি আলোচনা থমকে যায়।
হামাসের পক্ষ থেকে শর্ত দেওয়া হয়েছে, আগে যুদ্ধবিরতি করতে হবে। এরপর জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হবে।
হামাস প্রধান ঈসমাইল হানিয়া গতকাল কাতারের রাজধানী দোহায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘দখলদারদের কারাগারে থাকা আমাদের সব বন্দি মুক্তি না পাওয়া পর্যন্ত ইসরায়েল কখনো তাদের জিম্মিদের ছাড়িয়ে নিতে পারবে না।’
সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল