ঢাকাঃ সারাদেশ জুড় বাইছে হিমেল হাওয়া। রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশ জুবুথুবু হয়ে আছে শীতের প্রভাবে। নাতিশীতোষ্ণ বাংলাদেশে সাধারণ ভাবে উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে শীত অনুভূত হয় বেশি। আবহাওয়ার আচরণ স্বাভাবিক হলে, হিমালয়ের পাদদেশ এবং ভারতের আসাম-মেঘালয় সংলগ্ন সব জেলায় শীত নামে জোরেশোরেই।
এবছররের আবহাওয়া আচরণ স্বাভাবিকের বাইরে কিছু নয়, এমন কথা বলেছেন আবাহওয়া বিশেষজ্ঞরা। তবে শীতের আগে এল-নিনোর প্রভাব বিবেচনায় নিয়ে, তুলনামূলক উষ্ণ শীতকালের পূর্বাভাস দিয়েছিলেন তারা।
ঋতু পরিক্রমায় বাংলাদেশে শীতকাল বিরাজ করে পৌষ ও মাঘ মাস জুড়ে; খ্রিষ্টাব্দ অনুসারে ডিসেম্বর ও জানুয়ারি শীতকাল। এবার ডিসেম্বররে তেমন ঠান্ডা অনুভূত হয়নি। তবে জানুয়ারি থেকে বাড়তে থাকে শীতের তীব্রতা।
শীত প্রভাব বিস্তার করে উত্তরের জেলা দিনাজপুর থেকে উপকূলের খুলনা পর্যন্ত। মধ্যাঞ্চলের বৃহত্তর ময়মনসিংহ, রাজধানীসহ ঢাকা অঞ্চল এবং নদী বিধৌত বরিশাল অঞ্চলে নেমে আসে পারদের স্তর। চট্টগ্রামে এখনো কামড় বসায়নি শীত। তবে কুয়াশা আছে, নেমেছে তাপমাত্রা। এমন শীত পরিস্থিতি কমতে কয়েক দিন লাগবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো কিশোরগঞ্জের নিকলী ও চুয়াডাঙ্গায়। আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্যমতে, শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত বাংলাদেশের চার জেলা; নওগাঁ, দিনাজপুর, পঞ্চগড় ও চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে। এসব অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
শুক্রবার দুপুর ১২টায় ঢাকার তাপমাত্রা ছিলো ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদফতরের মতে, মৃদু শৈত্যপ্রবাহে তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে। মাঝারি শৈত্যপ্রবাহে তাপমাত্রা হয় ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তীব্র শৈত্যপ্রবাহে ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয় তাপমাত্রা।
দিনাজপুরে তাপমাত্রা ৮.৮ ডিগ্রি
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে বাংলাদেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে দিনাজপুরে। আবহাওয়া অধিদফতরের বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।
এছাড়া, আবহাওয়া অফিস শনিবার সকাল ৯টা থেকে পরের ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলেছে, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং তা কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
কুয়াশার কারণে উড়োজাহাজ চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন ও সড়ক যোগাযোগে সাময়িকভাবে বিঘ্ন ঘটতে পারে বলেও উল্লেখ করা হয় বুলেটিনে।
এতে আরো বলা হয়, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলাসহ রংপুর বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দেশের কোথাও কোথাও দিনে ঠান্ডা পরিস্থিতি বিরাজ করতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
শীতে বিপর্যস্ত খুলনাঞ্চল
তীব্র শীতে বাংলাদেশর খুলনাঞ্চলে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। কনকনে ঠান্ডা আর ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন পুরো এলাকা, রোদের তেজ নেই।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) থেকে হঠাৎ করে শীতের তীব্রতা বাড়ে। প্রচণ্ড ঠান্ডা, ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ নাকাল হয়ে পড়েছেন। শীত থেকে মুক্তি পেতে অনেকে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।
খুলনা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ বলেন, খুলনায় শনিবারের (১৩ জানুয়ারি) তাপমাত্রা ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা এ বছরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
তিনি জানান যে এমন তাপমাত্রা আরো ২ থেকে ৩ দিন থাকবে। ১৫ জানুয়ারির পর তাপমাত্রা একটু বাড়বে। তবে ২০ জানুয়ারি পর আবার তাপমাত্রা কমবে বলে জানান তিনি।
এদিকে, খুলনা বিভাগের চুয়াডাঙ্গা সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
লালমনিরহাটে সূর্যের দেখা নেই
লালমনিরহাটে কয়েক দিন ধরে ঘন কুয়াশায় বিরাজ করছে। দেখা মিলছে না সূর্যের। হিমেল বাতাসের দাপটে উত্তরের সীমান্তবর্তী লালমনিরহাটের জনজীবন বিপর্যস্ত।
কষ্টে দিন যাপন করছেন তিস্তা ও ধরলা তীরবর্তী, চরাঞ্চলের মানুষ। সন্ধ্যায় পর থেকেই বৃষ্টি মতো টপ টপ করে কুয়াশা পড়ছে। দুপুরেও বইছে হিমেল হাওয়া।
ঠান্ডাজনিত রোগ সর্দি, কাশি ও হাঁপানিজনিত রোগ বেড়েছে শিশু ও বৃদ্ধদের মাঝে । শ্রমজীবীরা কর্মহীন দিন যাপন করছেন।
ঘন কুয়াশার কারণে যানবাহনগুলোকে দুপুরেও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।
রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, শুক্রবার সকাল ৮টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
লালমনিরহাট সিভিল সার্জন নির্মলেন্দু রায় জানান, ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতের কারণে কয়েকদিন ধরে হাসপাতালগুলোতে সর্দি, কাশি ও হাপানিজনিত রোগী সংখ্যা বেড়ে গেছে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্লাহ জানান, লালমনিরহাট জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন বিভিন্ন স্থানে শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করেছে।
বরিশালে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
নদী বিধৌত বরিশালে হাড় কাঁপানো শীত, বিপর্যস্ত জনজীবন। শনিবার বরিশালে মৌসুমের সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস।
আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রা আরো কমতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তারা।
এদিকে বরিশালে শিশু ও বয়স্কদের ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বেড়েছে। বরিশাল শের ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে গত কয়েক দিন ধরে ধারণ ক্ষমতার কয়েক গুণ বেশি রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। আশঙ্কা জনকভাবে বেড়েছে বয়স্ক রোগীর সংখ্যা।
হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম বলেন, স্থান সংকটের কারণে, বাধ্য হয়ে শিশুদের মেঝেতে বিছানা দিয়ে সেবা দিতে হচ্ছে।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক মাসুদ রানা রুবেল জানান, এমন তাপমাত্রায় সকালে ২ নটিক্যাল মাইল বেগে বাতাস বয়ে যাাচ্ছ, বাড়ছে শীতের অনভুতি।
তিনি আরো জানান, আবহাওয়া বিদ্যার মতে এখনো মৃদু শৈত্যপ্রবাহ নেই। তবে বাতাস বইতে থাকায় শৈত্যপ্রবাহ অনুভূত হচ্ছে।
এমন শীত আরো তিন থেকে চার দিন অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ জুড় বাইছে হিমেল হাওয়া। রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশ জুবুথুবু হয়ে আছে শীতের প্রভাবে। নাতিশীতোষ্ণ বাংলাদেশে সাধারণ ভাবে উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে শীত অনুভূত হয় বেশি। আবহাওয়ার আচরণ স্বাভাবিক হলে, হিমালয়ের পাদদেশ এবং ভারতের আসাম-মেঘালয় সংলগ্ন সব জেলায় শীত নামে জোরেশোরেই।
এবছররের আবহাওয়া আচরণ স্বাভাবিকের বাইরে কিছু নয়, এমন কথা বলেছেন আবাহওয়া বিশেষজ্ঞরা। তবে শীতের আগে এল-নিনোর প্রভাব বিবেচনায় নিয়ে, তুলনামূলক উষ্ণ শীতকালের পূর্বাভাস দিয়েছিলেন তারা।
ঋতু পরিক্রমায় বাংলাদেশে শীতকাল বিরাজ করে পৌষ ও মাঘ মাস জুড়ে; খ্রিষ্টাব্দ অনুসারে ডিসেম্বর ও জানুয়ারি শীতকাল। এবার ডিসেম্বররে তেমন ঠান্ডা অনুভূত হয়নি। তবে জানুয়ারি থেকে বাড়তে থাকে শীতের তীব্রতা।
শীত প্রভাব বিস্তার করে উত্তরের জেলা দিনাজপুর থেকে উপকূলের খুলনা পর্যন্ত। মধ্যাঞ্চলের বৃহত্তর ময়মনসিংহ, রাজধানীসহ ঢাকা অঞ্চল এবং নদী বিধৌত বরিশাল অঞ্চলে নেমে আসে পারদের স্তর। চট্টগ্রামে এখনো কামড় বসায়নি শীত। তবে কুয়াশা আছে, নেমেছে তাপমাত্রা। এমন শীত পরিস্থিতি কমতে কয়েক দিন লাগবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো কিশোরগঞ্জের নিকলী ও চুয়াডাঙ্গায়। আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্যমতে, শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত বাংলাদেশের চার জেলা; নওগাঁ, দিনাজপুর, পঞ্চগড় ও চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে। এসব অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
শুক্রবার দুপুর ১২টায় ঢাকার তাপমাত্রা ছিলো ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদফতরের মতে, মৃদু শৈত্যপ্রবাহে তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে। মাঝারি শৈত্যপ্রবাহে তাপমাত্রা হয় ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তীব্র শৈত্যপ্রবাহে ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয় তাপমাত্রা।
দিনাজপুরে তাপমাত্রা ৮.৮ ডিগ্রি
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে বাংলাদেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে দিনাজপুরে। আবহাওয়া অধিদফতরের বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।
এছাড়া, আবহাওয়া অফিস শনিবার সকাল ৯টা থেকে পরের ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলেছে, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং তা কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
কুয়াশার কারণে উড়োজাহাজ চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন ও সড়ক যোগাযোগে সাময়িকভাবে বিঘ্ন ঘটতে পারে বলেও উল্লেখ করা হয় বুলেটিনে।
এতে আরো বলা হয়, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলাসহ রংপুর বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দেশের কোথাও কোথাও দিনে ঠান্ডা পরিস্থিতি বিরাজ করতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
শীতে বিপর্যস্ত খুলনাঞ্চল
তীব্র শীতে বাংলাদেশর খুলনাঞ্চলে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। কনকনে ঠান্ডা আর ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন পুরো এলাকা, রোদের তেজ নেই।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) থেকে হঠাৎ করে শীতের তীব্রতা বাড়ে। প্রচণ্ড ঠান্ডা, ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ নাকাল হয়ে পড়েছেন। শীত থেকে মুক্তি পেতে অনেকে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।
খুলনা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ বলেন, খুলনায় শনিবারের (১৩ জানুয়ারি) তাপমাত্রা ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা এ বছরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
তিনি জানান যে এমন তাপমাত্রা আরো ২ থেকে ৩ দিন থাকবে। ১৫ জানুয়ারির পর তাপমাত্রা একটু বাড়বে। তবে ২০ জানুয়ারি পর আবার তাপমাত্রা কমবে বলে জানান তিনি।
এদিকে, খুলনা বিভাগের চুয়াডাঙ্গা সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
লালমনিরহাটে সূর্যের দেখা নেই
লালমনিরহাটে কয়েক দিন ধরে ঘন কুয়াশায় বিরাজ করছে। দেখা মিলছে না সূর্যের। হিমেল বাতাসের দাপটে উত্তরের সীমান্তবর্তী লালমনিরহাটের জনজীবন বিপর্যস্ত।
কষ্টে দিন যাপন করছেন তিস্তা ও ধরলা তীরবর্তী, চরাঞ্চলের মানুষ। সন্ধ্যায় পর থেকেই বৃষ্টি মতো টপ টপ করে কুয়াশা পড়ছে। দুপুরেও বইছে হিমেল হাওয়া।
ঠান্ডাজনিত রোগ সর্দি, কাশি ও হাঁপানিজনিত রোগ বেড়েছে শিশু ও বৃদ্ধদের মাঝে । শ্রমজীবীরা কর্মহীন দিন যাপন করছেন।
ঘন কুয়াশার কারণে যানবাহনগুলোকে দুপুরেও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।
রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, শুক্রবার সকাল ৮টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
লালমনিরহাট সিভিল সার্জন নির্মলেন্দু রায় জানান, ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতের কারণে কয়েকদিন ধরে হাসপাতালগুলোতে সর্দি, কাশি ও হাপানিজনিত রোগী সংখ্যা বেড়ে গেছে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্লাহ জানান, লালমনিরহাট জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন বিভিন্ন স্থানে শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করেছে।
বরিশালে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
নদী বিধৌত বরিশালে হাড় কাঁপানো শীত, বিপর্যস্ত জনজীবন। শনিবার বরিশালে মৌসুমের সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস।
আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রা আরো কমতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তারা।
এদিকে বরিশালে শিশু ও বয়স্কদের ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বেড়েছে। বরিশাল শের ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে গত কয়েক দিন ধরে ধারণ ক্ষমতার কয়েক গুণ বেশি রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। আশঙ্কা জনকভাবে বেড়েছে বয়স্ক রোগীর সংখ্যা।
হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম বলেন, স্থান সংকটের কারণে, বাধ্য হয়ে শিশুদের মেঝেতে বিছানা দিয়ে সেবা দিতে হচ্ছে।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক মাসুদ রানা রুবেল জানান, এমন তাপমাত্রায় সকালে ২ নটিক্যাল মাইল বেগে বাতাস বয়ে যাাচ্ছ, বাড়ছে শীতের অনভুতি।
তিনি আরো জানান, আবহাওয়া বিদ্যার মতে এখনো মৃদু শৈত্যপ্রবাহ নেই। তবে বাতাস বইতে থাকায় শৈত্যপ্রবাহ অনুভূত হচ্ছে।
এমন শীত আরো তিন থেকে চার দিন অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।