দেশে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের সেনা ও সীমান্তরক্ষীরা কবে ফেরত যাবে?

199

 

সাম্প্রতি মিয়ানমারের সেনা ও সীমান্তরক্ষীদের  বাংলাদেশে ‘অনুপ্রবেশ’ বাড়ছে। মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আড়াইশ’ জনের বেশি মানুষ বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন, যাদের মধ্যে দেশটির সেনা ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যই বেশি। মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সমর্থন নিয়ে সরকারের বিরোধিতা করা শান রাজ্যের তিনটি জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠীর একজোট হয়ে চালানো একের পর এক হামলা সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে ক্ষমতায় থাকা দেশটির সামরিক বাহিনী। বিদ্রোহী বাহিনীর কাছে প্রদেশের নিয়ন্ত্রণ হারানো ও প্রতিবেশী দেশে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সদস্যদের পালিয়ে আশ্রয় নিচ্ছে শুধু বাংলাদেশে । সেই ক্ষেত্রে ভারতের মিজোরামে পালিয়ে আসা মিয়ানমারের প্রায় দেড়শ’ সৈন্যকে ফেরত পাঠানো সম্ভব হলেও। এখন প্রশ্ন উঠেছে আশ্রয় নেয়া এসব সেনা ও সীমান্তরক্ষীরা কি আদৌ ফেরত পাঠানো যাবে! নাকি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মতো এদেরও পুনর্বাসন করতে হবে? এর আগে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। পরবর্তীতে তাদের ফেরত পাঠাতে দু’দেশের মধ্যে প্রত্যাবাসন চুক্তিও হয়েছে। কিন্তু নিজ দেশে ফিরতে নিরাপদবোধ না করায় রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কাউকেই গত ছয় বছরে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়নি।

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ব্যক্তিদের উখিয়া সীমান্তের একটি স্কুলে রাখা হয়েছে।

মিয়ানমার থেকে আসা ব্যক্তিদের উখিয়া সীমান্তের ১টি স্কুলে রাখা হয়েছে

ঢাকাঃ বাংলাদেশের কক্সবাজারের উখিয়া ও বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি মিয়ানমার বর্ডারে তিনটি ক্যাম্প আছে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর। ঢেঁকিবনিয়া সীমান্তচৌকি থেকে বাংলাদেশের লোকালয় প্রায় ৮০০ মিটার দূরে। ঢেঁকিবনিয়া ও ঘুমধুমের মাঝখানে নাফ নদীর সরু একটি শাখা ও প্যারাবন রয়েছে। এ কারণে তুমব্রু রাইট ক্যাম্পে গোলাগুলির সময় বাংলাদেশের বসতঘরে গুলি ও মর্টার শেল এসে পড়েছে।

মিয়ানমারে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে জান্তা সরকারের চলমান সংঘর্ষের মধ্যে দেশটির সেনা ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কয়েক শ’ সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। মানবিক দিক বিবেচনায় আপাতত আশ্রয় দেওয়া হলেও শিগগিরই তাদেরকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের সরকার। কিন্তু তাদেরকে ফেরত পাঠাতে ঠিক কতদিন লাগতে পারে, সে ব্যাপারে নির্দিষ্ট করে এখনো কিছু জানানো হয়নি।

আশ্রয় নেওয়া সেনা ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের ফেরত পাঠাতে সরকার ইতিমধ্যেই মিয়ানমারের সাথে আলাপ-আলোচনা শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তবে সব ধরনের প্রক্রিয়া শেষ করে তাদেরকে ফেরত পাঠাতে বেশ কিছু দিন সময় লেগে যেতে পারে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সূত্রে জানানো হয়েছে।

গত কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশের বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্ত এবং কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের ভেতরে দেশটির সেনা ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির ব্যাপক গোলাগুলি ও সংঘর্ষ চলছে।

বিদ্রোহীদের তীব্র হামলার মুখে গত ৪ঠা ফেব্রুয়ারি সকাল থেকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্ত এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে দফায় দফায় প্রবেশ করতে দেখা যাচ্ছে মিয়ানমারের সেনা ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের।

গত তিন দিনে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আড়াইশ’ জনের বেশি মানুষ বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। এদের মধ্যে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যই রয়েছেন দুইশ জনের বেশি।

এছাড়া সেনা সদস্য, শুল্ক কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তারাও পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। তাদেরকে এখন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) হেফাজতে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের সরকার। একটি দেশের নাগরিক বিনা অনুমতিতে অন্য আরেকটি দেশের সীমানায় ঢুকে পড়লে সেটিকে ‘অনুপ্রবেশ’ হিসেবেই ধরা হয়ে থাকে।

এক্ষেত্রে অনেক সময় আটক করে তাদেরকে বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাও গ্রহণ করতে দেখা যায়। কিন্তু যুদ্ধ পরিস্থিতি বা অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে প্রাণে বাঁচতে একটি দেশের নাগরিক অন্য দেশের সরকারের কাছে সাময়িকভাবে আশ্রয় চাইলে, সেটি ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা হয়।

“মানবিক দিক বিবেচনায় প্রাথমিকভাবে তাকে আশ্রয় দেওয়া হয়। তবে নিরাপদ উপায়ে কীভাবে তাকে আবার দ্রুত ফেরত পাঠানো যায়, সেটিও একইসাথে বিবেচনা করা হয়”, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হোসেন এসব বলেন।

এক্ষেত্রে আশ্রয়দাতা দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আশ্রয় গ্রহীতার দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ করে ঘটনা জানানো হয়। এরপর দু’দেশের সরকারের মধ্যে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই ফেরত পাঠানো হয়।

এর আগে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। পরবর্তীতে তাদের ফেরত পাঠাতে দু’দেশের মধ্যে প্রত্যাবাসন চুক্তিও হয়েছে। কিন্তু নিজ দেশে ফিরতে নিরাপদবোধ না করায় রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কাউকেই গত ছয় বছরে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়নি।

“প্রাণে বাঁচতেই যেহেতু তারা আশ্রয় চেয়েছেন, সেহেতু ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রেও আশ্রয়গ্রহীতার নিরাপত্তার বিষয়টিকে বিশেষভাবে প্রাধান্য দেওয়া হয়”। রোহিঙ্গা শরণার্থীরা আশ্রয় নিলেও মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সদস্য ও সরকারি কর্মকর্তাদের আশ্রয় নেওয়ার এমন ঘটনা বাংলাদেশে আগে কখনো দেখা যায়নি।

“বাংলাদেশের ইতিহাসে এ ধরনের ঘটনা এবারই প্রথম। কাজেই সরকার কীভাবে এবং কত দ্রুততার সাথে নিরাপদে তাদেরকে ফেরত পাঠাতে পারে, সেটিই এখন দেখার বিষয়”, বলেন সাবেক পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হোসেন।

এক্ষেত্রে কোন ধরনের চুক্তি ছাড়াই কেবল পারস্পরিক বোঝাপড়ার ভিত্তিতে আশ্রয়গ্রহীতাকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো যায় বলেও জানিয়েছেন তিনি। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ক্ষমতা দখলের পর থেকে বিভিন্ন সময়ে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর হামলার শিকার হয়েছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার।

কিন্তু গত অক্টোবরে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো একযোগে আক্রমণ শুরু করে। যতই দিন যাচ্ছে, ততই তাদের আক্রমণ তীব্রতর হচ্ছে। এতে অনেকটাই কোণঠাসা হয়ে পড়েছে জান্তা সরকার। জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর আক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে সামরিক টহল চৌকি, অস্ত্রাগার ও বেশ কিছু শহরের নিয়ন্ত্রণ ইতিমধ্যেই বিদ্রোহীদের হাতে চলে গেছে বলে জানা যাচ্ছে।

এ অবস্থায় প্রাণে বাঁচতে মিয়ানমারের সৈন্য ও সীমান্তরক্ষীরা প্রায়ই প্রতিবেশী চীন, ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে ঢুকে পড়ছেন। বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির ধাওয়া খেয়ে গত ২৯ ডিসেম্বর ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মিজোরামে পালিয়ে আসেন মিয়ানমারের প্রায় দেড়শ’ সৈন্য।

এরপর ভারত সরকারের তৎপরতায় চার দিনের মাথায় তাদেরকে ফিরিয়ে নিয়ে যায় মিয়ানমার। ভারতের গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, গত দোসরা জানুয়ারি মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর দু’টি বিশেষ বিমান এসে মিজোরামের রাজধানী আইজলে অবতরণ করে।

বিমান দু’টিতে করেই সৈন্যদের সবাইকে নিজ দেশে ফেরত নিয়ে যায় মিয়ানমার। এর কিছুদিন আগে আশ্রয় নেওয়া আরও একটি দলকে ভারতীয় বিমান বাহিনীর দু’টি হেলিকপ্টারে করে মনিপুরের মোরে সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়।

গত নভেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত কয়েক দফায় প্রায় ছয়শ’ জন সেনা সদস্য ভারতের মিজোরাম প্রদেশে আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার। প্রতিবারই ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে কয়েক দিনের মধ্যেই আবারও নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছে দেশটির সরকার।

এছাড়া আগামীতে মিয়ানমারের কোন নাগরিক যেন বিনা অনুমতিতে ভারতে প্রবেশ করতে না পারে, সেজন্য সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার সিদ্ধান্তও নিয়েছে মোদী সরকার।

“মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের সীমান্ত উন্মুক্ত। নরেন্দ্র মোদী সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে এই সীমান্তকে সুরক্ষিত করতে হবে। আর সেইজন্যই মিয়ানমারের সঙ্গে পুরো সীমান্তেই বেড়া তৈরি করা হবে, যেরকমটা রয়েছে বাংলাদেশ সীমান্তে” সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমকে বলেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

মিয়ানমার আর ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষ বিনা ভিসায় একে অন্যের দেশে যাতায়াত করতে পারেন যে ফ্রি মুভমেন্ট রেজিম বা এফএমআর অনুযায়ী, সেটাও আপাতত বন্ধ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মি. শাহ। ফ্রি মুভমেন্ট রেজিম (এফএমআর) অনুযায়ী সীমান্তবর্তী অঞ্চলের মানুষ সীমান্তের দু’দিকে ১৬ কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকায় বিনা ভিসায় চলাচল করতে পারেন। তবে তার জন্য দুই দেশের স্থানীয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি লাগে আর অন্য দেশে গিয়ে সর্বোচ্চ ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত থাকা যায়।

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সেনা ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে মিয়ানমার সরকারের সাথে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন সাংবাদিকদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

“তাদের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে আলাপ চলছে এবং নৌপথে নেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে” মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন মি. মাহমুদ।

নৌপথে ফেরত পাঠানোর প্রস্তাবটি মূলত: মিয়ানমার সরকারের পক্ষ থেকেই দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা। “সরকার প্রস্তাবটি ভেবে দেখছে। কীভাবে, কোন প্রক্রিয়ায় তাদেরকে নিরাপদে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো যায়, সে চেষ্টাই করা হচ্ছে”, বলেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা।

রাখাইন রাজ্যের অনেক স্থানে আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সংঘাত অব্যাহত থাকলেও মংডু শহর এখন পর্যন্ত নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে জান্তা সরকার।

কাজেই সেনা ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যদেরকে নৌপথে মংডু নিয়ে ফেরত পাঠানো হতে পারে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। বিদ্রোহীদের হামলার মুখে সম্প্রতি মিয়ানমারের সেনা ও সীমান্ত নিরাপত্তারক্ষী বাহিনীর অনেক সদস্য বেশ কয়েক দফায় ভারতেও আশ্রয় নিয়েছিল। তবে প্রতিবারই তাদেরকে সপ্তাহেরও কম সময়ের দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

গত তিনদিনে বাংলাদেশে যারা আশ্রয় নিয়েছেন, তাদেরকে কবে নাগাদ ফেরত পাঠানো হতে পারে?

“এখানে প্রক্রিয়াগত বেশকিছু বিষয় আছে। কাজ শুরু হয়েছে, সময় লাগবে”, বিবিসি বাংলাকে বলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা। “তবে ঠিক কতদিনের মধ্যে তাদের ফেরত পাঠানো যাবে, সেটি এখনই নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়”, বলেন তিনি।

মিয়ানমারের সাথে বাংলাদেশের আড়াইশ’ কিলোমিটারেরও বেশি লম্বা সীমান্ত রয়েছে। এই সীমান্তের পুরোটাই উন্মুক্ত। ফলে ওই সীমান্ত দিয়েই প্রায়ই মিয়ানমারের নাগরিকদের বাংলাদেশে ঢুকে পড়ার খবর পাওয়া যায়।

এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঢুকতে দেখা গেছে ২০১৭ সালে। সহিংসতার জেরে সেসময় কক্সবাজার ও বান্দরবান সীমান্ত দিয়ে লাখ লাখ রোহ্ঙ্গিা শরণার্থী বাংলাদেশে প্রবেশ করেছিল।

বর্তমানে দশ লাখেও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে অবস্থান করছে। কয়েক দফায় আলোচনার পরও তাদের একজনকেও দেশে ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়নি। এর মধ্যেই আবারও মিয়ানমারের নাগরিকদের বাংলাদেশে ঢুকে পড়তে দেখা যাচ্ছে।

এ ধরনের ঘটনা বন্ধে ভারতের মতো বাংলাদেশ সরকারেও মিয়ানমার সীমান্তে কাঁটাতার দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন অনেকে। কিন্তু মিয়ানমার সীমান্তে কাঁটাতার দেওয়ার মতো কোন পদক্ষেপে সরকার আপাতত যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা।

তবে সীমান্তে নিরাপত্তা আরও জোরদার করার বিষয়ে বিজিবিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে সম্প্রতি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।এদিকে, সীমান্তের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) নবনিযুক্ত মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।

“আমরা ধৈর্য ধারণ করে মানবিক দিক থেকে এবং আন্তর্জাতিক সুসম্পর্ক বজায় রেখে পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা করছি”। তবে কোনো অবস্থাতেই রোহিঙ্গাদের আর বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন বিজিবি মহাপরিচালক।

লেখকঃ একেএম শরিফুল ইসলাম খান, সাংবাদিক, কলামিস্ট, মানবাধিকার কর্মী ও সংগঠক,

সভাপতি, বাংলাদেশ অনলাইন মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশন

No photo description available.

 

পূর্বের খবরকিয়ারাকে নিয়ে ঘোড়ায় চড়ে কোথায় যাচ্ছেন সিদ্ধার্থ
পরবর্তি খবরবইমেলায় ফেরদৌস হাসান রানার উপন্যাস “ডাক দিয়ে যায়” আসছে আজ