বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মোটরসাইকেলে দুর্ঘটনা মোট দুর্ঘটনার ৩৮ দশমিক ৭৭ শতাংশ, নিহতের ৩৯ দশমিক ৪৩ শতাংশ ও আহতের ১৮ দশমিক ৭৮ শতাংশ। আগস্টে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে। এই বিভাগে ১২৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১২৬ জন নিহত হয়েছে।
আগস্টে সড়ক দুর্ঘটনায় ৬৩৫টি যানবাহনের পরিচয় মিলেছে। এতে দেখা যায়, ২৮ দশমিক ৩৪ শতাংশ মোটরসাইকেল, ২২ দশমিক ২০ শতাংশ ট্রাক-পিকাপ-কাভার্ডভ্যান ও লরি, ১৫ দশমিক ১১ শতাংশ বাস, ১৭ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক, ৫ দশমিক ৯৮ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ৪ দশমিক ৫৬ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা, ৬ দশমিক ৭৭ শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রোবাস সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে।
সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৬১ দশমিক ৪৫ শতাংশ গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনা, ২১ দশমিক ৯৯ শতাংশ সংঘর্ষ, ১২ দশমিক ৯২ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে, ২ দশমিক ৭২ শতাংশ বিবিধ কারণে এবং শূন্য দশমিক ৯০ শতাংশ ট্রেন-যানবাহন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আগস্টে মোট দুর্ঘটনার ৩৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ২১ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ৩১ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়েছে। এছাড়াও সারা দেশে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, ১ দশমিক ১৩ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরে এবং শূন্য দশমিক ৯০ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে সংঘটিত হয়েছে।