ঢাকাঃ দেশে মূলত চারটি স্থানীয় জাতের গরু পাওয়া যায়। উত্তরবঙ্গে নর্থ বেঙ্গল গ্রে ক্যাটল, পাবনায় জার্সি গরু, মুন্সিগঞ্জে মীরকাদিম গরু ও চট্টগ্রামে রেড ক্যাটল গরু। এক গবেষণায় মুন্সিগঞ্জের মীরকাদিম জাতের গরুর জিন রহস্য বা জিনোম সিকোয়েন্স উন্মোচন করেছেন বাংলাদেশি বিজ্ঞানীরা। পাশাপাশি তারা দেশি জাতের ভেড়া এবং হাঁসের জিনোম সিকোয়েন্সও বের করেছেন।
নিজস্ব সক্ষমতায় প্রথমবারের মতো মুন্সীগঞ্জের মীরকাদিম জাতের গরুর জিন রহস্য (জিনোম সিকোয়েন্স) উন্মোচন করেছেন বাংলাদেশি বিজ্ঞানীরা। পাশাপাশি তারা দেশি জাতের ভেড়া এবং দেশি হাঁসের জিনোম সিকোয়েন্সও বের করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার সাভারে
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজির (এনআইবি) হলরুমে সংবাদ সম্মেলনে দেশি বিজ্ঞানীদের এ সফলতার তথ্য জানানো হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান।
এর মাধ্যমে দেশের প্রাণিসম্পদ খাতে সুনির্দিষ্ট উপায়ে গবাদি পশুর প্রজনন, মাংস ও দুধের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং পুষ্টিমানের উন্নয়নসহ জাত উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে সহায়তা করবে বলে জানান মন্ত্রী।
তিনটি প্রাণীর জীবনরহস্য উন্মোচনের কাজটি করেছে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজির (এনআইবি) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও মহাপরিচালক ড. মো. সলিমুল্লাহর নেতৃত্বে একটি গবেষক দল। দলটিতে আরও ছিলেনÑ সেন্টার ফর নেক্সট জেনারেশন সিকোয়েন্সিং অ্যান্ড এনালাইটিকস প্রকল্প পরিচালক এবং সিইও কেশব চন্দ্র দাস, এসএসও ড. নুসরাত জাহান, ড. আঞ্জুমান আরা ভূইয়া, ড. ইউএস মেহজাবিন আমিন, এসও মো. হাদিসুর রহমান, মোহাম্মদ উজ্জ্বল হোসেন, ইসতিয়াক আহমেদ, তাহমিদ আহসান, জিসান মাহমুদ চৌধুরী ও অরিত্র ভট্টাচার্য।
জীবপ্রযুক্তি বিষয়ে দেশের একমাত্র বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান এনআইবি জানায়, ২০২৩ সালের ১২ জানুয়ারি দেশি গরু, ভেড়া ও হাঁসের জিনোম সিকোয়েন্স নিয়ে গবেষণা শুরু হয়।