আজ শক্তির মহড়া তারপর…
মরিয়া লড়াইয়ের আভাস-ইঙ্গিত রেখেই আজ শনিবার মাঠে নামছে বিএনপি। সেজন্য তাদের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার, তল্লাশির বাধা পেরিয়ে আসতে হচ্ছে। একইভাবে মোক্ষম জবাব দেওয়ার জন্য নামছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দুই দলই জিততে চায়। এতে যে জনমনে আশঙ্কা, দুশ্চিন্তা ও দুর্ভাবনার জন্ম হয়েছে, সেটাও পাড়া-মহল্লার আলোচনায় বোঝা যায়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও সতর্ক। তারাও প্রস্তুতি নিয়ে নেমেছে।
অবস্থা দেখে বুঝে ব্যবস্থা: কাদের
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সতর্ক পাহারায় থাকতে হবে। এদের (বিএনপি) দুরভিসন্ধি আছে। সাম্প্রদায়িক আরও দু-একটি শক্তি নিয়ে তারা অশুভ খেলার পরিকল্পনা করছে। সার্বক্ষণিক সতর্ক পাহারায় থাকতে হবে। মিটিং শেষ, চলে গেলেই হবে না। কালকে (শনিবার) একটু দেখে-শুনে যাবেন। অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা।
গ্রেপ্তার তল্লাশি বাস বন্ধ
জুলহাস কবীর। বয়স আনুমানিক ২৭ বছর। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গিয়েছিলেন আজমপুর রাজউক কমপ্লেক্স মার্কেটে মোবাইল ফোন মেরামত করার জন্য। রাত সাড়ে ৮টায় তিনি উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টরের বাসায় ফিরছিলেন। মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে এলে টহল পুলিশ তাকে আটক করে। বিএনপির কর্মী সন্দেহে তাকে থানায় নিয়ে যেতে চায়। একপর্যায়ে পুলিশ তার কাছে ৩ হাজার টাকা দাবি করে। শেষমেশ ১ হাজার টাকা দিয়ে রক্ষা পান জুলহাস।
অনুমতি পায়নি তবু অনড় জামায়াত
কেয়ারটেকার সরকারের দাবিতে মতিঝিলের শাপলা চত্বরের মহাসমাবেশের যে কর্মসূচি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দিয়েছে, সে কর্মসূচির অনুমতি দেয়নি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এরই মধ্যে গতকাল শুক্রবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শাপলা চত্বরে তারা মহাসমাবেশ করবে।
আতঙ্ক ছড়াচ্ছে সরকার: ফখরুল
দেশবাসীকে শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আগামীকালের (আজ শনিবার) মহাসমাবেশ কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে করতে চায় বিএনপি। কিন্তু সরকার আতঙ্ক ছড়াতে মহাসমাবেশ ঘিরে অসংখ্য নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করছে, পথে পথে বাধার সৃষ্টি করছে। শুধু তাই নয়, নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।’