অনলাইন ডেস্কঃ শারজাহতে ২য় ম্যাচে শেষ ওভারে দরকার ছিল দুই রান। বোলার আজমতউল্লাহ ওমরজাই। দর্শকদের অপেক্ষায় না রেখে প্রথম বলে চার মেরে বাংলাদেশকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান শরীফুল ইসলাম। আর এতেই আফগানিস্তানের টার্গেট দেওয়া ১৪৮ রান ৮ উইকেট হারিয়ে উতরে গেল বাংলাদেশ।
২ উইকেটের জয় বাংলাদেশকে এনে দিয়েছে সিরিজও। তিন ম্যাচ সিরিজে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই বাংলাদেশ ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে ট্রফি নিশ্চিত করেছে।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে আবার মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। সিরিজ জয়ের ম্যাচে শেষের নায়ক শরীফুল। দশ নম্বরে নেমে ৬ বলে ১১ রান করেছেন এই বাঁহাতি। এর আগে ম্যাচের শুরুতেও বাংলাদেশকে পথ দেখিয়েছেন এই শরীফুলই।
এদিকে ১৪৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের শুরুতে আবারও ব্যাটিং ধসের মুখে পড়ে বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লের মধ্যেই দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম (২), পারভেজ হোসেন ইমন (২) এবং সাইফ হাসানকে (১৮) হারিয়ে বিপদে পড়ে টাইগাররা।
২৪ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন অধিনায়ক জাকের আলী ও শামীম পাটোয়ারী।চতুর্থ উইকেটে এই জুটি ৫০ রান যোগ করে দলকে ম্যাচে ফেরানোর ইঙ্গিত দেন। কিন্তু রশিদ খানের ঘূর্ণিতে জাকের (২৫ বলে ৩২) আউট হওয়ার পর আবারও পথ হারায় বাংলাদেশ। এরপর শামীম (৩৩), সাইফউদ্দিন (৪) ও রিশাদ (২) দ্রুত ফিরে গেলে ১২৯ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে পরাজয়ের শঙ্কায় পড়ে দল।শেষ মুহূর্তে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল কঠিন সমীকরণ।
বাংলাদেশ তাদের অষ্টম উইকেট যখন হারায় তখনও ১২ বলে দরকার ১৯ রান। এরপর আগের ম্যাচের মত আরো একবার ত্রাতা হয়েছেন নুরুল হাসান সোহান। এবার সঙ্গী হিসেবে ছিলেন শরিফুল ইসলাম। সোহানের ২১ বলে ৩১ রানের হার না মানা ইনিংসের সাথে শরিফুলের ৬ বলে ১১ রানের অপরাজিত ইনিংসে ৫ বল হাতে রেখে ২ উইকেটে জয়লাভ করে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের হয়ে ৪ উইকেট নেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। ২ উইকেট নিয়েছেন রশিদ খান। ১টি করে উইকেট শিকার করেন নূর আহমেদ এবং মুজিব উর রহমান।
এর আগে টস জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
শুরুটা ছিল ধীর, হিসেবি। আফগান দুই ওপেনার সেদিকুল্লাহ আতাল ও ইব্রাহিম জাদরান প্রথম ৬ ওভারে রান তুলেছেন মাত্র ৩৫, কিন্তু উইকেট রাখেন নিরাপদে। বল হাতে এসেই ত্রাতা হয়ে আসেন তরুণ লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। অষ্টম ওভারের দ্বিতীয় বলেই ভাঙে উদ্বোধনী জুটি।
আতাল ফেরেন ২৩ রান করে, ক্যাচ নেন পারভেজ ইমন।
এরপর একপ্রান্ত ধরে রাখলেও ঝড় তুলতে পারেননি জাদরান। ধীরে ব্যাট চালিয়ে ৩৭ বলে করেন ৩৮ রান। তাকে থামান বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ।
ঠিক পরের ওভারেই আরো একটি ধাক্কা। রিশাদের ঘূর্ণিতে মাত্র ১ রান করে ফিরলেন তারাখিল।
আফগান ইনিংসে এরপরও ছিল কিছু চমক। গুরবাজ ঝড় তোলার চেষ্টা করেছিলেন, করেন ২২ বলে ৩০ রান। কিন্তু শরিফুল ইসলামের গতি-প্রতিভায় থেমে যেতে হয় তাকেও।
মাঝের ওভারগুলোতে দ্রুত উইকেট হারিয়ে ধাক্কা খেলেও ইনিংসের শেষদিকে আজমতউল্লাহ ওমরজাই এবং অভিজ্ঞ মোহাম্মদ নবি মিলে আফগানিস্তানকে নিয়ে গেলেন লড়াইয়ের পুঁজি পর্যন্ত।
আজমতউল্লাহ অপরাজিত ১৭ বলে ১৯ রান করে, আর নবি অপরাজিত থাকেন ১২ বলে ২০ রানে। বাংলাদেশের হয়ে রিশাদ ও নাসুম নিয়েছেন ২টি করে উইকেট, আর ১ উইকেট শরিফুলের ঝুলিতে।