নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সাগরকন্যা খ্যাত কুয়াকাটা সৈকত রক্ষায় ৪৫০ কোটি টাকার প্রকল্প, প্রতিবছর ভাঙছে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত, ছোট হয়ে আসছে সৈকতের মানচিত্র। সূর্যোদয় সূর্যাস্তের বেলাভূমি, সাগরকন্যা খ্যাত কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। প্রতিনিয়ত হাজার হাজার পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত থাকে এই সৈকত। তবে, বর্ষা মৌসুমে ভাঙন শুরু হয় এ সৈকতে। পূর্ণিমার অস্বাভাবিক জোয়ারে সৃষ্ট বিক্ষুব্ধ ঢেউয়ের আঘাতে ক্রমশ বিলীন হচ্ছে বাংলাদেশের দক্ষিনে সৌন্দর্য্য কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত।
প্রতিবছর সাগরের জোয়ারে বিলীন হয় সৈকতের অন্তত ১৫ থেকে ২০ মিটার প্রশস্থতা। এক সময় সৈকতের প্রস্থ ছিল দুই থেকে তিন কিলোমিটার। কয়েক বছরের ভাঙনে সৈকতের প্রস্থ ঠেকেছে মাত্র তিনশ’ থেকে চারশ’ মিটারে। সমুদ্রের অস্বাভাবিক জোয়ারের তাণ্ডবে বিলীন হয়েছে নারিকেল, তাল বাগানসহ সারি সারি গাছ।তাই কুয়াকাটায় এসে এখন হতাশ হয়ে ফিরতে হয় পর্যটকদের। ইতোমধ্যে সাগরে বিলীন হয়েছে, বেশ কিছু বাগান ও জাতীয় উদ্যাণ সহ বহু স্থাপনা। ঝুঁকিতে রয়েছে, সৈকতের জিরো পয়েন্টের মসজিদ ও মন্দির সহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত ভাঙনের কবলে পড়ায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে সৈকতের বনাঞ্চলসহ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।
ক্রমশই ছোট হয়ে আসছে সৈকতের মানচিত্র। ভাঙ্গন রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ড গত ৪ বছরে ৮ কোটি টাকার জিও ব্যাগ ফেললেও, সৈকতের দৃশ্যমান কোন উন্নতি হয়নি। তাই ভাঙ্গন রোধে, স্থায়ী সমাধানের দাবি পর্যটকসহ স্থানীয়দের। সমুদ্র সৈকতের ভাঙ্গন রক্ষায়, ৬৮ টি গ্রোয়েন বাঁধ নির্মাণের লক্ষে, ৭৫৯ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদনের জন্য, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী খালেদ বিন অলীদ।
স্থানীয়রা বলেন, সাগর যেভাবে ভাঙা শুরু হয়েছে এভাবে চলতে থাকলে মসজিদ ও মন্দির টিকিয়ে রাখা কঠিন হবে। ভাঙন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থার পরিকল্পনায় সৈকত রক্ষা ও উন্নয়নের জন্য ৪৫০ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেয়ার হয়েছে বলে জানিয়েছেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক। অপরূপ সৌন্দর্যের এ লীলাভূমি রক্ষায় সরকার দ্রুত উদ্যোগী হবেন-এমন প্রত্যাশা পর্যটকসহ সবার।#