ঔষধ প্রশাসন হার্টের রিংয়ের খুচরা মূল্য পুনর্নির্ধারণ করেছে

130
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ হার্টের রিংয়ের দাম পুনর্নির্ধারণ করেছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। কর্তৃপক্ষের দাবি, জনসাধারণের কথা বিবেচনা করে আগের চেয়ে দাম কমানো হয়েছে। নির্ধারিত এই দামের বেশিতে বিক্রয় করলে সেই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ঔষধ ও কসমেটিসক আইন ২০২৩ অনুযায়ী তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানিয়েছে দেশের ঔষধ ও চিকিৎসা ডিভাইস নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান।

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল ডা. মোহাম্মদ ইউসুফের সই করা ওই বিজ্ঞপ্তিটি মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) জারি করা হয়েছে।

ওই চিঠি অনুযায়ী, ঔষধ ও কসমেটিকস আইন ২০২৩ এর ৩০ (১) ধারা মোতাবেক করোনারি স্টেন্টের দাম পুনর্নির্ধারণ করেছে। কার্ডিয়াক চিকিৎসা প্রদানকারী সকল হাসপাতালকে ৫টি নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে। নির্দেশনাগুলো হলো- সকল হাসপাতালের নোটিশ বোর্ডে হার্টের রিংয়ের মূল্য তালিকাটি জনগণের জন্য প্রদর্শন করতে হবে। হার্টের রিং সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য প্যাকেজে অন্তর্ভুক্ত না করার ব্যবস্থা করতে হবে। রিংয়ে নাম, সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য এবং উৎপাদনকারীর নাম উল্লেখপূর্বক পৃথক ক্যাশমেমো প্রদান করতে হবে। রোগীকে ব্যবহৃত রিংয়ের প্যাকেট সরবরাহ করতে হবে। রিংয়ের প্যাকেটের গায়ে উৎপাদন তারিখ, মেয়াদ, উৎপাদক দেশ ও মূল্য সম্বলিত হতে হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে হার্টের রিং আমদানিকারক ২৭টি প্রতিষ্ঠানের ৪০টির অধিক রিংয়ের নাম উল্লেখ করে আলাদা আলাদাভাবে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। রিংয়ের খুচরা দাম সর্বোচ্চ ১ লাখ ৪০ হাজার পাঁচশ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সর্বনিম্ন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ হাজার টাকা।

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মুখপাত্র  মো. নুরুল আলম বণিক বার্তাকে বলেন, ‘আমরা জনসাধারণের সুবিধা বিবেচনা করে রিংয়ের দাম পুনর্নির্ধারণ করেছি। প্রতিটি রিংয়ের জন্য দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এই খুচরা মূল্যের চেয়ে কোনো রিংয়ের জন্য কোনো প্রতিষ্ঠান বেশি দাম দাবি করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ঔষধ ও কসমেটিকস আইন ২০২৩ দুই বছরের কারাদণ্ড ও দুই লাখ টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়ার এখতিয়ার ঔষধ প্রশাসনের রয়েছে।’

পূর্বের খবরদেশের মানবাধিকার নিয়ে ৬ আন্তর্জাতিক সংগঠনের উদ্বেগ
পরবর্তি খবরবিটিআরসি 5 জি সেবা নীতিমালা ৫ মাসের থাকলেও ৪ বছরেও প্রণয়ন হয়নি