‘আমেরিকান শ্রমনীতি পোশাক রপ্তানিতে নেতিবাচক অবস্থা তৈরি করতে পারে’: পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন

117

ঢাকাঃ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শ্রম অধিকার লঙ্ঘনে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপের যে নতুন নীতি যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা করেছে তা বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানিতে নেতিবাচক পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।

রোববার (৩১ ডিসেম্বর) রাজধানীর ইস্কাটনের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) মিলনায়তনে গ্লোবাল চ্যালেঞ্জ, আরএমজি ও ডিসেন্ট ওয়ার্ক বিষয়ে আলোচনা শীর্ষক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। পুরোনো ছবিপররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, বর্তমান বিশ্ব অর্থনীতি একটা অনিশ্চয়তার মধ্যে আছে। এর পেছনে বড় কারণ হচ্ছে করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। যার ফলে অনেক কিছুরই সরবরাহ কমে গেছে, ঘাটতি তৈরি হয়েছে। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে করে বাংলাদেশের অর্থনীতিও আক্রান্ত হয়েছে। তার মধ্যে তৈরি পোশাক খাতও আছে।

তিনি বলেন, সদ্য ঘোষিত মার্কিন শ্রমনীতি এবং তৈরি পোশাক খাতে ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার, উদ্যোক্তা এবং শ্রমিকদের মধ্যে সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। তাদের এই নীতির ফলে কাঁচামাল আমদানি ও পোশাক রপ্তানিতে নেতিবাচক অবস্থা তৈরি হতে পারে। শিল্পের বিরুদ্ধে যে কোনো বিধিনিষেধমূলক ব্যবস্থা কারখানা বন্ধ এবং নারী কর্মীদের চাকরি হারানোর দিকে ধাবিত করবে। এ ছাড়া এটি লিঙ্গ সমতার টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের জন্য দেশের প্রচেষ্টাকে লাইনচ্যুত করবে। সমাজে চরমপন্থা ও উগ্রবাদের জন্ম দেবে। তবে বাংলাদেশে এমন কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।

পররাষ্ট্র সচিব আরও বলেন, দেশে পোশাক খাতে শ্রমিকদের কাজের অবস্থা উন্নত হচ্ছে। ক্রেতা, বিক্রেতা, আমদানি ও রপ্তানিকারক দেশ, অঞ্চল ও অংশীদারদের সবার দায়িত্ব সমন্বিতভাবে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা।

অনুষ্ঠানে তৈরি পোশাকের অবস্থা নিয়ে গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বিআইআইএসএস-এর গবেষক মাহাফুজ কবির। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাবেক রাষ্ট্রদূত এ এফ এম গওসোল আযম।

পূর্বের খবরবিদায় ২০২৩, নতুন সম্ভাবনায় স্বাগত ২০২৪
পরবর্তি খবরএবার ব্যবসায়িক মডেলে পরিবর্তন আনার কথা বলছে ইভ্যালি