বাংলাদেশের অভিনয়-জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র প্রয়াত কিংবদন্তি অভিনেতা হুমায়ুন ফরীদির ৭২তম জন্মদিন আজ (২৯ মে)। মঞ্চ থেকে চলচ্চিত্র অভিনয়ের সবখানে তিনি রাজত্ব করেছেন দুর্দান্ত প্রতাপে। তার অসাধারণ সৃষ্টিকর্ম আজও দাগ কেটে আছে ভক্তদের মনে।
নিউজ২১ডেস্কঃ প্রয়াত কিংবদন্তি অভিনেতা হুমায়ুন ফরীদির জন্মদিন আজ (২৯ মে)। বেঁচে থাকলে আজকের এই দিনে ৭২ বছরে পা রাখতেন তিনি। একাধারে মঞ্চ, টিভি নাটক ও চলচ্চিত্রে অভিনয় করে দর্শকহৃদয় ছুঁয়ে গেছেন এই অভিনেতা। অভিনয় জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র বলা হয় তাকে। অসাধারণ সৃষ্টিকর্মে সবার হৃদয়ে এখনও অমলিন হয়ে আছেন হুমায়ুন ফরীদি। শুরুতে মঞ্চ ও টিভি নাটকে অভিনয়ে করে তুমুল জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন এই অভিনেতা; যা আজও দাগ কেটে আছে তার ভক্তদের মনে।
গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার তুমুলিয়া ইউনিয়নের চুয়ারিয়া গ্রামের এটিএম নূরুল ইসলাম ও মা বেগম ফরিদা ইসলাম ১৯৫২ সালের ২৯ মে জন্মগ্রহণ করা হুমায়ুন ফরীদি চার ভাই-বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়।
ফরীদি ১৯৮৪ সালে তানভীর মোকাম্মেলের হুলিয়া স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।[৫] পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে তার অভিষেক ঘটে শেখ নিয়ামত আলীর দহন (১৯৮৫) চলচ্চিত্র দিয়ে। এই চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে বাচসাস পুরস্কার অর্জন করেন।
হুমায়ূন ফরীদি অভিনীত চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে ‘একাত্তরের যিশু’, ‘সন্ত্রাস’, ‘ব্যাচেলর’, ‘জয়যাত্রা’ ও ‘শ্যামলছায়া’ অন্যতম। বাণিজ্যিক ধারার সিনেমার খল চরিত্র করেও তিনি খ্যাতি পান। ‘মাতৃত্ব’ সিনেমার জন্য ২০০৪ সালে সেরা অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান হুমায়ূন ফরীদি। ব্যক্তি জীবনে দুবার বিয়ে করেন ফরীদি।
২০১৮ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত করেন।
এই গুণী অভিনেতা ২০১২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার ধানমন্ডিতে তার নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬০ বছর।